চট্টগ্রামে ইফতারসামগ্রী নিতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে নিহত ৯

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে ইফতারসামগ্রী বিতরণের সময় হুড়োহুড়ি শুরু হলে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে নয়জন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই নারী ও শিশু। এ ঘটনায় আহত অন্তত ২৫ জন।
আজ সোমবার দুপুরে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে ইফতারসামগ্রী বিতরণের সময় হতাহত হওয়ার এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের ইসমাইলের স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩৫), দক্ষিণ ঢেমশা রাস্তার মাথা এলাকার হাসান ড্রাইভারের স্ত্রী রিনা বেগম (৩২), উত্তর ঢেমশা মোবারক হোসেনের মেয়ে সাকি (২২) এবং খাগড়িয়া রসুলপুর মহাজন পাড়ার নূর হোসেনের স্ত্রী রশিদা আক্তার (৫৪);  লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে টুনটুনি বেগম (১৫), উত্তর কলাউজানের আলাউদ্দিনের মেয়ে নূরজাহান (১৮) এবং কলাউজানের রসুলবাদ গ্রামের আব্দুল হাফেজের স্ত্রী জোস্না আকতার (৫০); চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব দোহাজারীর নূর ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০)এবং বান্দরবান জেলার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিমের স্ত্রী নূর আয়শা (৬০)।

কেএসআরএম-এর সিইও মো. মেহেরুল করিম বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও ইফতার সমাগ্রী বিতরণের সময় তাদের এমডি মো. শাজাহান ওই মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ছোলা, সেমাই, চিনি, পেঁয়াজের মত বিভিন্ন পণ্য মিলিয়ে ২০ হাজার মানুষের জন্য প্যাকেট তৈরি করা হয়েছিল।

“অন্য বছর কেবল এ গ্রামের লেকজনকে দেওয়া হয়। এবার আশপাশের অন্য কয়েকটি গ্রামের লোকজন চলে আসায় ভিড় বেড়ে গেছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম। পুলিশ এসেছিল, আমাদের নিজস্ব সিকিউরিটির ১০০ জনের বেশি লোক ছিল। একটা মেডিকেল টিমও রাখা হয়েছিল মাঠের পাশে। তারপরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।”

মেহেরুল করিম বলেন, মারা যাওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন তারা। আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার কোম্পানির পক্ষ থেকেই বহন করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কেউ যদি কেএসআরএম-এ চাকরি করতে চায়, সে ব্যবস্থাও করা হবে।

এদিকে সাতকানিয়ায় ভিড়ের চাপে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

Print Friendly

Related Posts