মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনকে ঘিরে উত্তাল গাজা, নিহত ৪৩

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর একদিনে ফিলিস্তিনি নিহতের এ সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ।

সোমবার জেরুজালেমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ফিলিস্তিনিরা। তারা এ পদক্ষেপকে পুরো নগরীর ওপর ইসরায়েলি শাসনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট সমর্থন হিসাবেই দেখছে। যে জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি এবং ইসরায়েলি নেতাদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী ঘোষণায় ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেইডম্যান বলেন, “আজ আমরা ইসরায়েলের জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খুলছি।”

ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য রেখেছেন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে। তিনি বলেন, “ইসরায়েল একটি সার্বভৌম জাতি। তাদের নিজেদের রাজধানী নির্ধারণের অধিকার আছে। কিন্তু বহুদিন ধরে আমরা এই সুষ্পষ্ট বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিতে পারিনি।”

একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্যও ট্রাম্প প্রতিশ্রুতিব্ধ বলে জানান।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দূতাবাসের উদ্বোধনী বক্তব্যে ট্রাম্পকে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং দিনটিকে ইসরায়েলের জন্য ‘গৌরবজ্জ্বল দিন’ বলে বর্ণনা করেন।

দূতাবাস খোলার আগে থেকেই গাজা সীমান্তে মারমুখী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী ৬ শিশু  এবং হুইলচেয়ারে চলাফেরা করা এক ব্যক্তিও আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে হুইলচেয়ারে বসা এক ফিলিস্তিনিকে গুলতি দিয়ে পাথর ছুড়তে দেখা যায়।

‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসাবে গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিরা গত ছয় সপ্তাহ ধরে সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছে। বিক্ষোভকারীরা বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা করছে। ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি ১৩ টি স্থানে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

নিজ ভূমিতে ফেরত যাওয়ার অধিকারের দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিরা গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

Print Friendly

Related Posts