বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মন্ত্রিসভায় সোমবার কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ ও এ্যারাবিক স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর মতো সমমান প্রদান করে একটি আইনের খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসাগুলোকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতে নিয়ে আসতে দাওরায়ে হাদিসকে (তাকমিল) স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর (ইসলামিক স্টাডিজ ও এ্যারাবিক) সমমান প্রদান করে প্রণীত এ আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিব বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সম্পর্কিত এক গেজেট নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে এই খসড়া আইন প্রণীত হয়েছে। ওই গেজেটে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রীকে স্নাতকোত্তর সমমান দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি গেজেট নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
শফিউল বলেন, বর্তমানে দেশে যে ৬টি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড রয়েছে সেগুলোর সমন্বয়ে ‘আল-হায়াতুল উলিয়া লিল-জমিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ’ নামে একটি মাত্র বোর্ড গঠন করা হবে। এর অফিস হবে ঢাকায়। পদাধিকারবলে, বিফাকুল মাদরিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যানই হবেন (বর্তমান ছয়টি বোর্ডের একটি) ১৭ সদস্যের সমন্বিত বোর্ডের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন ,‘বোর্ড চেয়ারম্যান এক বা একাধিক ব্যক্তিকে বোর্ডের সদস্য হিসেবে কো-অপ্ট করতে পারবেন, কিন্তু এই ধরনের সদস্য সংখ্যা ১৫ এর বেশী হবে না। বোর্ড কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যসূচি এবং প্রশ্নপত্র তৈরি করবে, পরীক্ষা এবং পুরস্কার সনদের নিয়ম-নীতি পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, ‘ তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবে, এই জন্য বোর্ড পরিচালনার জন্য অনেক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে এবং তা রাজনীতির উর্ধ্বে থাকবে।