সাটুরিয়ার কালা পাহাড় নজর কেড়েছে সবার

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন করা হয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ি এলাকার কালা পাহাড় নামের ষাঁড়টি নজর কেড়েছে সবার। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ষাড়টিকে দেখতে আসছেন ক্রেতারা।

ডা:লুৎফর রহমান ঈদকে সামনে রেখে এ ষাঁড়টি লালন পালন করছেন। উচ্চতা পাহাড়ের মতো আর গায়ের রং কালো হওয়ায় পরিবারের সবাই আদর করে নাম রেখেছেন কালা পাহাড়।

পাহাড়ের মতই দেখতে হলিস্ট্রিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির উচ্চতা ৭ ফুট। ৩২ মণ ওজনের এ ষাঁড়টি লম্বায় ৭ ফুট,বুকের মাপ ১১ ফুট।

ডা: লুৎফর রহমার জানান, প্রতিদিনই কালা পাহাড়কে দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি গরু পালন করে থাকেন। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই তিনি কালা পাহাড়কে লালন পালন করেছেন। গরু মোটাতাজাকরনে তারা কোন ওষুধ ও কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না।

লুৎফর রহমানের সহধর্মীনি সাহেরা বেগম জানান, নিজ সন্তানের মতই তারা কালা পাহাড়কে গত এক বছর ধরে পালন করছেন। কালা পাহাড়কে প্রতিদিনই ঘাষ, কুড়া, ভুষি, ছোলা, আপেল, কমলা, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলফলাদি খাইয়েছেন। এর রাজকীয় খাবারের পেছনে প্রতিদিনই খরচ হচ্ছে ১৪-১৫শত টাকা।

লুৎফর রহমানের ছেলে গোলাপ আহমেদ জানান, গত বছর পার্শ্ববর্তী তেবারিয়া গ্রাম থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে তারা ষাঁড়টি ক্রয় করেন। তারপর এক বছর দেশীয় পদ্ধতিতে তারা ষাড়টিকে লালন পালন করেছেন। স্থানীয় খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে যে কারণে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয়। তবে, হাটে ভারতীয় গরু আমদানী হলে দেশীয় গরুর দাম কমে যায়। যদি ভারতের গরু আমদানী না হয় তাহলে আমরা নায্য দামে গরু বিক্রি করতে পারব।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে তাদের কালা পাহাড়ের দাম উঠেছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। তবে, ৮/৯ লাখ টাকা দাম হলে তারা কালা পাহাড়কে বিক্রি করে দেবেন।

Print Friendly

Related Posts