অপরাধী মন না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মিথ্যা তথ্য না দিলে, অপরাধী মন না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রকাশিত সংবাদ সত্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ রাখার কথা বলেন তিনি।

বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলবো যে সাংবাদিকরা মনে করেন যে তারা কোনো অন্যায় কাজ বা তারা কারো বিরুদ্ধে অপবাদ বা মিথ্যা তথ্য দেবে না। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবে না তাদের উদ্বেগ হওয়ার মতো কিছু নাই।’

তিনি বলেন, ‘এখানে উদ্বিগ্ন তারা বেশি হবে। যারা এতদিন ধরে খুব তৈরি হয়ে আছে যে এ নির্বাচনের সিডিউল বা নির্বাচন আসার কাছাকাছি- মানে আমাদের ভালো করে ঘায়েল করার জন্য ডক্যুমেন্ট তৈরি করে বসে আছে।’

‘ছাপছে অলরেডি কোনো কোনো পত্রিকা, আমি দেখি, হেডলাইনও পাই। এতটুকু কি দোষ আছে সেটা খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা উদ্বিগ্ন হতে পারে। কারণ তারা ভাবছে এ রকম একটা মিথ্যা নিউজ করবো- তাহলে (আইনে কারণে) এটাতো মাঠে মারা যাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ এতো উদ্বেগ হয়ে গেল কিসের জন্য। আমার কাছে সেটা প্রশ্ন। কারো যদি অপরাধী মন না থাকে বা ভবিষ্যতে কিছু অপরাধ করবে এ রকম পরিকল্পনা যদি না থাকে তার উদ্বেগ হওয়ার কোন কারণ নেই।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার, পূর্বানুমতি ছাড়া ডিজিটাল ডিভাইস জব্দের ক্ষমতা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের কিছু কিছু ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়েছে তাদের ট্র্যাক করার জন্য। তাদের যখন ট্র্যাক করলাম যে একটা জঙ্গি এখানে বোমা ফাটাবে বা কিছু একটা করছে। ট্র্যাক করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যদি তাকে গ্রেফতার না করি, বসে থাকা হয়, এখন ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হবে, তারপর মামলা দিতে হবে। ও (অপরাধী) কি ওখানে বসে থাকবে? আমাকে তো সঙ্গে সঙ্গে এড্রেস করতে হবে, ধরতে হবে। ধরার পর তারপরই না মামলা হবে। সারা বিশ্বে এটাই করে।’

যারা এ ধরনের কাজ করে তারা বিকৃতমনা

ক্রিকেটার লিটন দাসের ফেসবুক পেজে পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক মন্তব্য-গালাগালের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করে তারা বিকৃতমনা।

‌এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলোর মোকাবেলা করার জন্যই তো আমরা সাইবার সিকিউরিটি আইন পাস করেছি। এ সমস্ত নোংরামি যাতে না হয় সেটা মাথায় রেখে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি প্রতিটি দেশেই একটি বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় সামাজিক, পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নানা ধরনের ক্রাইম, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস  এবং পর্ন- নানা ধরনের ঘটনা দেখা দিচ্ছে।

সমাজ এবং গণমাধ্যমকে এ ধরনের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

Print Friendly

Related Posts