শুভ মহালয়া ॥ দেবীপক্ষ শুরু

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুভ মহালয়া আজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজায় শুরু হলো দেবীপক্ষ। চণ্ডিপাঠের মধ্যদিয়ে আবাহন জানানো হলো দুর্গতিনাশিনীকে। দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে পূজা অর্চনা। দেবীর আবাহনেই শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। আর ৬ দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা। সোমবার (৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫’টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।

ঢাকেশ্বরী ছাড়াও রাজধানীর স্বামীবাগ ও বনানীসহ বিভিন্ন মণ্ডপে মহা আড়ম্বর আবাহন জানানো হচ্ছে দেবীকে। সনাতন ধর্মমতে, এ দিন প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠানো হয়। যে আত্মার সমাবেশই মহালয়া নামে পরিচিত।

পিতৃপক্ষের শেষে দেবীপক্ষের শুরু। একই সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নেরও শুরু। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বছর ঘুরে আবারও উমা দেবী আসছেন তার বাপের বাড়ি।

পুরাণমতে, অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। তখন দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি।

শাস্ত্রমতে, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, এবার দুর্গা দেবী আসছেন ‘ঘোটক’-এ চড়ে। অর্থাৎঘোড়ায় চড়ে, আর গমন করবেন দোলায়। হিন্দু শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন । সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয় । মহালয় থেকে মহালয়া । পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি ।

Print Friendly

Related Posts