জাবি প্রতিনিধি: ধানমন্ডির একটি নির্মানাধীন ভবন থেকে রড পরে অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ ঘটনা ঘটে। মেধাবী শিক্ষার্থী মাহমুদ বিন আশরাফ (২২) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত ইখতেদার ইভান (২৩) নামে অপর এক শিক্ষার্থী চিকীৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত শিক্ষার্থীর বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, ধানমন্ডি ৫/এ রোডের মেডিনোভা হাসপাতালের পাশে বসে মাহমুদ কয়েক বন্ধুসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানে নির্মানাধীন একটি বাড়ির ওপর থেকে একটি রড ছিটকে মাহমুদের ওপর পড়ে। মাহমুদের বন্ধুরা তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তারের পরামর্শে সেখান থেকে মাহমুদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুক্রবার রাত নয়টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুর দুইটায় মাহমুদের আবাসিক হল মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কলা ও মানবিকী অনুষদ চত্ত্বরে মাহমুদের নিজ বিভাগে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে মেহেরপুর সদরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মানাধীন ওই ভবনে কোনো রকম নিরাপত্তা ছিলনা। নির্মানাধীন ভবনে সেফটি নেট না থাকায় রড ছিটকে নিচে পরায় মাহমুদ নিহত হয়েছে।
এ বিষয়ে মাহমুদের পরিবারের সাথে আলাপ করলে ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পর আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন বলে তাঁরা জানান। এদিকে একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন মাহমুদের মা-বাবা।
মাহমুদ বিন আশরাফ এর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, ‘এ মৃত্যু অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিত। এ মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন। মাহমুদ স্বপ্ন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়েছিল। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে সেই স্বপ্নেরও সমাধি হলো।’
উপাচার্য মাহমুদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপনের সাথে সাথে ঘটনায় যারা দায়ী তাদের সচেতন হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ কামনা করেন।