শীতে মার্সেলের প্রায় অর্ধশত মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্স

চলতি বছর ৯ মাসে বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে শীত। শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতিও। শীতে উষ্ণতা দেয়ার জন্য দেশের অন্যতম ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল বাজারে এনেছে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। মার্সেলের টার্গেট- শীতে দেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ করা। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রায় অর্ধশত মডেলের গৃহস্থালী পণ্য বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন মডেলের পণ্য।

জানা গেছে, এবার শীত মৌসুমকে সামনে রেখে মার্সেল বাজারে ছেড়েছে ১৯ মডেলের রাইস কুকার, ৩ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন ও রুম হিটার, ৬ মডেলের প্রেসার কুকার, ৪ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি ও আয়রন বা ইস্ত্রি, ৮ মডেলের ব্লেন্ডার ও ১ মডেলের এনার্জি সাশ্রয়ী ইন্ডাকশন কুকার। এর মধ্যে নতুন এসেছে ১ মডেলের মাইক্রোওভেব ওভেন ও ব্লেন্ডার।
এসব পণ্যের পাশাপাশি আপকামিং এর তালিকায় রয়েছে ২ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি ও মাইক্রোওয়েব ওভেন, ১ মডেলের রুম হিটার ইত্যাদি।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবছরই স্থানীয় বাজারে মার্সেল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা বাড়ছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি করেছে মার্সেল। বেশি বিক্রির পেছনে তাদের যুক্তি- অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্য, উচ্চ গুণগত মান, দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা এবং অসংখ্য বৈচিত্র্যময় মডেল।

মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের সিংহভাগ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত করেছে নতুন নতুন মডেলের পণ্য। সারা দেশের আউটলেটগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ। বিপণনে নেয়া হয়েছে সময়োপযোগি কর্মপরিকল্পনা।

তারা জানান, গত শীতে স্থানীয় বাজারে মার্সেল ইন্ডাকশন কুকার ও রুম হিটার ব্যাপক বিক্রি হয়েছিল। শীতে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়। এসময় সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় মার্সেলের ইন্ডাকশন কুকারে।

মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মার্সেলের শক্তিশালী আরএন্ডডি (পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা) টিমের প্রকৌশলীরা গ্রাহকদের রুচি, চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী এসব পণ্যের ডিজাইন করেছেন। পণ্যের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মান নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি আরো বলেন, সারা দেশের আউটলেটগুলো সাজানো হয়েছে নতুন নতুন মডেলের সব হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস দিয়ে। ডিজাইন ও কালারে আনা হয়েছে বৈচিত্র্যতা। তার প্রত্যাশা- এই শীতে গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে থাকবে মার্সেল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস।

হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের পাশাপাশি মার্সেলের প্রোডাক্ট লাইনে রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, জেনারেটর, এলইডি লাইট, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, এসিড লিড রিচার্জেবল ব্যাট্যারি, এয়ার কুলার, কিচেন কুকওয়্যার, গ্যাস স্টোভ, রিচার্জেবল ল্যাম্প ও টর্চ, স্ট্যাবিলাইজার ও প্রোটেক্টর, ওয়াটার পিউরিফায়ার ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, মার্সেলের রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী সারা দেশে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাজ করছেন। #

Print Friendly

Related Posts