প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিলেন আলেমরা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

রোববার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ বক্তৃতাকালে মুফতি রুহুল আমিন এ উপাধি দেন। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মুফতি রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি ‘কওমি জননী’। আপনি না থাকলে সাহাবা ও আলেম-ওলামাবিরোধী জামায়াত-মওদুদীবাদীরা এটা হতে দিতো না।

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও আলেমদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কেও আলেমদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে দিন।

রুহুল আমিনের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র আরেক সদস্য মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, আমাদের একজন আপনাকে ‘কওমি জননী’ বলেছেন। আপনি মায়ের দরদ দিয়ে ইমামদের ৫ হাজার টাকা, মোয়াজ্জিনদের ৩ হাজার টাকা ভাতা দেবেন।

কওমি আলেমদের সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বলেন, আপনাদের একজন প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কওমি জননী হলে আপনারা কী? সন্তান। আপনারা সন্তান হলে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি জননীর প্রতিও সন্তানদের দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা চাই।

কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

Print Friendly

Related Posts