শেখ হাসিনার জন্য দেশের খেদমতের সুযোগ চাইলেন আলেমরা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন আবারও বাংলাদেশের খেদমত করতে পারেন সেই কামনা করলেন কওমি আলেমরা। আজ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসার আলেমদের শোকরানা মাহফিলে এ কামনা করেন তারা।

আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এই শোকরানা মাহফিলে সারাদেশের কওমি আলেমরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘জনদরদী নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার মাধ্যমে আমরা এ নেয়ামত (স্বীকৃতি) পেলাম। এ নেয়ামত নজিরবিহীন। ব্রিটিশ আমলে এ নেয়ামত (স্বীকৃতি) পাইনি। পাকিস্তান আমলে পাইনি, বাংলাদেশে দীর্ঘদিনে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ জাতিকে নজিরবিহীন এ উপহার দিয়েছেন তিনি। আল্লাহ তাকে (শেখ হাসিনা) দীর্ঘায়ু দান করে বাংলাদেশের খেদমত করার তৌফিক দান করুন।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী বলেন, আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোনও প্লাটফরম ও দলের সঙ্গে আমার ও হেফাজতে ইসলামের নীতিগত কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। মুসলমানদের ঈমান আকিদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের মূল লক্ষ্য। তাই আমার কর্মকৗশল ও সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই।

1-PM-2

আহমেদ শফী বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতা ও সাহসিকতার যে পরিচয় দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে কওমি ওলামায়ে কেরামের প্রতি তার দরদপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

জাতীয় দ্বীনী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আজ শুধু কওমি মাদরাসা শুধু নয়, সারাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করবেন না। ইতোমধ্যে এই অপপ্রচার প্রতিরোধে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি কোনও ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয় তাহলে সাখে সাথে সেই আইনদ্বারা তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম ইসলাম এবং নবী করিম (সা:) সম্পর্কে কেউ কোনও কটু কথা বললে সেই আইন দ্বারাই তার বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইন কাউকে নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেব না, আইন দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেব, যাতে কখনও তারা এধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় এই পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র ক্ষেত্রই ছিল এই কওমি মাদরাসা। এই কওমি মাদরাসার মধ্যদিয়েই মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের শুরু। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন যারা শুরু করেছিলেন তাদের হাত ধরেই এই কওমি মাদরাসার শিক্ষার প্রচলন। যাদের আমরা সবসময় সম্মান করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের দোয়া চাই সামনে নির্বাচন আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি ইচ্ছা করেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আবার বাংলাদেশের জনগণের খেদমত করাবার সুযোগ আমাকে দেবেন। আর যদি না দেন আমার কোন আফসোস থাকবে না। কারণ, আমি সবকিছু আল্লাহর ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।

Print Friendly

Related Posts