বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উত্সব শ্যামা পূজা গতকাল মঙ্গলবার সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে। কালী পূজা নামে পরিচিত এ উত্সবের সঙ্গে একই দিন উদযাপিত হয়েছে দীপাবলী উত্সবও। রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে শ্যামা দেবীর পূজা আয়োজিত হয়। পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জা প্রভৃতি কর্মসূচি ছিল। দীপাবলী উদযাপনের জন্য সন্ধ্যায় মন্দির, মণ্ডপ ও হিন্দুদের ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় শ্যামা পূজা উদযাপিত হয়েছে উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে সেখানে রাতে পূজা ছাড়াও সন্ধ্যায় দীপাবলী অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালন উদ্বোধন করেন সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ।
রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে শ্যামা পূজা ও দীপাবলী উত্সবের উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। মন্দির কমিটির সভাপতি উত্পল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব বিশ্বাস প্রমুখ।
সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে শ্যামা পূজার তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। মধ্যরাতে পূজা, পাঠা বলি, অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণ ছাড়াও সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে মন্দিরের গঙ্গাসাগর দীঘির চারপাশে সহস্রাধিক প্রদীপ প্রজ্বালন, আলোকসজ্জা, ৭টা ১ মিনিটে আতশবাজি ও বেঙ্গল লাইটস প্রদর্শনী এবং রাত ৮টা ৩১ মিনিটে নাট্যোত্সবের উদ্বোধন করা হয়। এই নাট্যোত্সবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয়টি নাটক প্রদর্শন করা হবে। শেষ দিনে সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে সন্ধ্যা পূজা আয়োজিত হবে।
এছাড়া রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মণ্ডপ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, বনগ্রাম রোডের রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, জয়কালী মন্দির রোডের রামসীতা মন্দির, রায়ের বাজার শেরেবাংলা রোড কালী মন্দির, পোস্তগোলা শ্মশান, লালবাগ শ্মশান, ঠাঁটারী বাজার, শাঁখারী বাজার, তাঁতি বাজার, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মী বাজার, বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, শ্যামবাজার, কোতয়ালি, উত্তর মুশুন্ডী, দক্ষিণ মুশুন্ডী, নারিন্দা, যুগীনগর, নবাবপুর, রাজারবাগ, বাড্ডা, মতিঝিল, রমনা, গুলশান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও শ্যামপুরসহ বিভিন্ন স্থানেও শ্যামা পূজা উদযাপিত হয়েছে।
