বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সিলেট ও মুন্সিগঞ্জে র্যাব এর সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলায় এক সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায় র্যাব। এ সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক ব্যাবসায়ীরা। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী শহীদ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের তথ্য মতে, নিহত শহিদ মিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকামুক্ত শীর্ষ মাদক সম্রাট। তাকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে গুলিবিদ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে, ভোরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে র্যাব এর সঙ্গে গোলাগুলিতে আবুল হোসেন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে উপজেলার সোনারং এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন, ৫০০ পিস ইয়াবা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।তার বিরুদ্ধে ১৮ টি মাদক মামলা রয়েছে।
র্যাব জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে বুধবার ভোর ৪টার দিকে টঙ্গীবাড়ির সোনারং এলাকায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালালে র্যাবও পালটা গুলি চালায়। পরে তারা পালিয়ে গেলে আবুল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া, ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের জিরো পয়েন্টে মাদকের চালানকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে নজির আহমদ ও আব্দুল আমিন নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি দেশীয় অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি মিরাজুল ইসলাম ওরফে মারুফ হোসেন ওরফে গরু মারুফকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুরস্থ কার্তিককূল বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ১টি পাইপগান, ১ রাউন্ড গুলি ও ৫৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। নিহত মারুফ দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আবদুল গফফার শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, কে বা কারা গরু মারুফকে গুলি করে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লাশ সনাক্ত করা হয়। গরু মারুফের বিরুদ্ধে দৌলতপুর ও দিঘলিয়া থানায় সেনহাটির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হালিম ও হুজি শহীদসহ একাধিক হত্যা ও চাঁদাবাজির অসংখ্য মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।