ট্রাম্পকে তালিবানের হুমকি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার মতো পুরোপুরি না হলেও, আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা সরানোর ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, এখানেও আর ১৪ হাজার সেনা রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।

আফগান তালিবানদের হুমকি, আফগানিস্তান থেকে এখনই পাততাড়ি না-গোটালে, আশির দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই হাল হবে আমেরিকার।

সিরিয়া থেকে সেনা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। মতের মিল না হওয়ায় ইস্তফা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস। ট্রাম্পের প্রশাসন তবু এক পা-ও পিছু না হটে জানিয়ে দেয়, সেনা সরানো হবে আফগানিস্তান থেকেও।

প্রায় এক দশক আফগানিস্তানকে নিজেদের দখলে রাখার পরে, ১৯৮৯-এ সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। গৃহযুদ্ধে টালমাটাল সেই সময়েই তালিবান-সব বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান হয় আফগানিস্তানে। তার পর আড়েবহরে বাড়তেই থাকে তালিবান। গোড়ায় আমেরিকা বিশেষ নাক গলায়নি। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পেন্টাগন এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরেই আল কায়দার মাথা ওসামা বিন লাদেনের খোঁজে আফগানিস্তানের সঙ্গে সরকারি স্তরে কথাবার্তা শুরু করে ওয়াশিংটন। কাবুলের তৎকালীন তালিবান সরকার কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি। এবং এর জেরেই আফগানিস্তানে সেনা পাঠায় আমেরিকা। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, ১৪ হাজার থেকে কমিয়ে এখন সেখানে ৭ হাজারের বেশি সেনা রাখতে চাইছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। গত বছর আবার সেই অবস্থান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবেই। তার পর সম্প্রতি, ফের ভোলবদল। এ মাসের মাঝামাঝি আফগানিস্তানে শান্তিপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠিও লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইমরান একটা দায়সারা উত্তর দিয়েছিলেন—‘ক্ষমতার মধ্যে থেকে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

তালিবানি হুমকির মুখে এখন আমেরিকা কী করে, সেটাই দেখার।

Print Friendly

Related Posts