বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাসায়নিক গোডাউন বা বহুতলের আগুন নেভাতে এবার কলকাতা দমকলের ভাবনায় ফায়ার রোবট৷ ইতিমধ্যেই রোবট কিনতে রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেয়েছে দমকল৷ দ্রুত ডাকা হবে টেন্ডার৷ জানিয়েছেন দমকলের ডিডি জগমোহন৷
দুর্গম স্থানে আগুন নেভাতে বিপাকে পড়তে হয় দমকল বাহিনীকে৷ তা মোকাবিলায় আগেই ফায়ার বল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় দমকল৷ কিন্তু রোবটের মাধ্যমে রাসায়নিক গোডাউন বা বহুতলে থুব তাড়াতাড়ি আগুন নেভানো যাবে বলে মনে করছে দমকল৷
বিভাগের ডিজির থেকে জানা গিয়েছে রোবটগুলি মানুষরূপী হতে পারে আবার স্বয়ংক্রিয় গাড়ির উপর যন্ত্র-ও হতে পারে৷
রোবট কিনতে মিলেছে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত৷ আপাতত চারটি স্বয়ংক্রিয় আগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র কেনবে দমকল৷ ডাকা হবে টেন্ডার৷ রোবট দিয়ে আগুন মোকাবিলার ফলে দমকল কর্মীরাও সুরক্ষিত থাকবেন বলে জানান বিভাগের ডিজি জগমোহন
নন্দরাম থেকে স্টিফেন কোর্ট, বা হালের বাগরি অগ্নিকাণ্ড৷ ঘিঞ্জি, দুর্গম এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে অত্যন্ত বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে৷ বহুতল বা রাসায়নিক গোডাউনের মত জায়গায় আগুন নেভাতে গিয়ে জখম হন দমকল কর্মীরা৷ সেই সব ঝক্কি সামলাতেই এবার ফায়ার বল ও রোবট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দমকল৷৷
কী এই ফায়ার বল? বাস্কেট বলের আকৃতির থেকে অল্প ছোট মাপের দেখতে হবে এই বল৷ যাতে ভরা থাকবে মোনো অ্যামোনিয়াম ফসফেট ও অ্যামোনিয়াম সালফেট৷ আগুন লাগলে সেখানে ছুঁড়ে মারা হবে এই বল৷ ফলে হাল্কা বিস্ফোরণ ঘটবে। এই দুই রাসায়নিকের মিশ্রন মিনিট দশেকের মধ্যেই আগুন ও চার পাশের দাহ্য পদার্থের উপর আস্তরন তৈরি করবে৷ ফলে মিনিট দশেকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আগুন৷
প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে দমকল দু’হাজার ফায়ার বল কিনবে৷ চিনে এ ধরনের বল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ফায়ার বলের দাম প্রায় বারশো রুপি করে৷ ডাকা হয়েছে টেন্ডার৷ কোন পরিস্থিতিতে এই বল ব্যবহার করা যাবে, তার নিয়মাবলীর বিষয়ে দমকলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷