সবার আগে সেমিতে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স

রংপুর রাইডার্স। বড় রান তাড়া করে জয় পাওয়া এই দলটিকে মাত্র ১৪২ রানের লক্ষ্য দিলো রাজশাহী কিংস। এই ম্যাচ জিততেও তারকা সমৃদ্ধ রংপুরকে পাড়ি দিতে হলো কঠিন পথ। মিরাজ-কাইস-রাব্বিদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে মাশরাফির দল জিতল মাত্র ৮ বল আগে, তাও ৪ উইকেট খুইয়ে! তবে এই জয় দিয়েই সবার আগে শেষ চার নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

রংপুর ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পয়েন্ট ১৪ করে। অন্তত তিন ও চারে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। এক ম্যাচ বাকি থাকা রাজশাহীর আশা এখনও টিকে আছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পঞ্চম স্থানে।

গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের বাঁচা মরার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রংপুর বোলারদের তোপে পড়ে রাজশাহী। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই জনসন চার্লসকে ফেরান ফরহাদ রেজা। ১১ বল খেলে দুই চারে ১২ রান করা ক্যারিবিয়ান মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যানের উঁচুতে তোলা বল লং লেগ থেকে দৌঁড়ে এসে তালুবন্দী করেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। এর একটু পর চার মেরে রানের খাতা খোলা মুমিনুল হককে সরাসরি বোল্ড করে দেন নাহিদুল ইসলাম। এদিনও ব্যর্থ সৌম্য সরকার। শহিদুল ইসলামের বলে রুশোর হাতে তালুবন্দী হবার আগে করেছেন মাত্র ১৪। মিরাজ এলেন আর গেলেন। নাজমুলের বলে বোল্ড হবার আগে এক চারে করেন ৬ রান।

এরপর দিশেহারা রাজশাহীকে পথা দেখানো চেষ্টা করে গেছেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান লরি ইভান্স। সঙ্গীর অভাবে তিনিও যেতে পারেন নি বেশিদূর। ৩১ বলে ৫ চারে থেমেছেন ৩৫ রানে। ক্রিস্টিয়ান জোঙ্কারও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ১১ বলে একটি করে চার-ছক্কার এই আফ্রিকানকেও ফেরান নাজমুল।

শেষদিকে ফজলে মাহমুদ (১৮) আর কাইস আহমেদের (২২) ব্যাটে সম্মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় রাজশাহী। ফরহাদ রেজা নেন তিন উইকেট। দুটি করে শিকার নাজমুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের।

ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বস্তিতে ছিল না রংপুরও। এদিনও ব্যর্থ গেইল (১৬)। পারেননি আগের ম্যাচে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলা অ্যালেক্স হেলসও (১৬)। তবে ব্যাটিং নির্ভর রংপুরকে ঠিকই টেনে নিয়ে গেছেন ঢাকার বিপক্ষে শূণ্যরানে ফেরা রাইলি রুশো। রাব্বির বলে বোল্ড হবার আগে ৪৩ বল খেলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় এই প্রোটিয়া করেছেন ৫৫ রান। সেই সঙ্গে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলের কোনো আসরে পাঁচশ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্রই হাত খুলে মারতে শুরু করা মিস্টার ‘থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’ তারকাকে অধিনায়ক মিরাজের তালুবন্দী করিয়েছেন আরাফাত সানি। তবে তার আগে ২৭ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় তুলে নেন ৩৭ রান। বাকি পথটুকু সহজেই পেরিয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন (৪) ও নাহিদুল ইসলাম (১১)।

৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে রাজশাহীর ৩ উইকেট তুলে নেয়া রংপুর পেসার ফরহাদের হাতে উঠেছে মাচসেরার পুরস্কার।

Print Friendly

Related Posts