বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কালবৈশাখীর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুদিন ধরে শিলা ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে এই ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
ঝড়ো হাওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে হবে। চলতি মাসের বাকি কয়েকদিন মেঘলা ও ঝড়ো আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে শুক্রবার আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ বুধবার , রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান গতকাল বলেন, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতের নির্দেশনার মধ্যেও কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকাপড়া পর্যটকদের নিরাপদে টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় আটকেপড়া দুই হাজারের অধিক পর্যটক টেকনাফ জেটিঘাটে এসে পৌঁছায় বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়।