মৌচাকে ১০ম বাংলাদেশ ও তৃতীয় সানসো স্কাউট জাম্বুরি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপি ১০ম বাংলাদেশ ও তৃতীয় সানসো স্কাউট জাম্বুরি।
স্কাউটদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে জাম্বুরি ময়দান। মৌচাকে পৌঁছানোর পরপরই তাদের জন্য নির্ধারিত তাঁবু এলাকা গুছিয়ে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্কাউটরা। মৌচাকে এখন একদিকে তাঁবু এলাকা গোছানো অন্যদিকে রান্না ও স্কাউট কার্যক্রমে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির দৃশ্য।
শুক্রবার থেকে সপ্তাহব্যাপি আয়োজনের কর্মকান্ড শুরু হলেও আগামীকাল রোববার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট মোঃ আবদুল হামিদ জাম্বুরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) মোঃ মশিউর রহমান জানান, স্কাউটসের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ৮ থেকে ১৪ মার্চ মৌচাক জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবারের জাম্বুরির থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘যোগ্য নেতৃত্ব উন্নত দেশ’।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, আফগানিস্থান, ব্রুনাই দারুস সালাম, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফিলিপাইনের স্কাউট ও কর্মকর্তা মৌচাকের জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন।
প্রথম দিনে অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি জাম্বুরির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এরিনায় বাংলাদেশে গার্ল ইন স্কাউট এর ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান হয়। বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (গার্ল ইন স্কাউটিং) সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।
মোঃ মশিউর রহমান জানান, স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট স্টিফেনশন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল ২০ জন সদস্য নিয়ে ১৯০৭ সালে স্কাউট আন্দোলন শুরু করার পরে মেয়েদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তাঁর বোন এ্যাগনেস ব্যাডেন পাওয়েল মেয়েদের জন্য গার্ল গাইড আন্দোলন শুরু করেন। এরপর তাঁর স্ত্রী অলিভ লেডী ব্যাডেন পাওয়েল গাইড আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করে তোলেন। স্কাউটিংয়ের গতিশীল প্রোগ্রাম ও ট্রেনিংয়ে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৯০ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৩২তম ওয়ার্ল্ড স্কাউট কনফারেন্সে স্কাউটিং এ মেয়েদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৯১ সাল থেকেই বিশ্বের বহু মুসলিম দেশসহ ৭৮টি দেশে গার্ল-ইন-স্কাউটিং প্রচলিত আছে। ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের ২১তম সভায় বাংলাদেশ স্কাউটসের গঠন ও নিয়ম এর সংশোধনীর মাধ্যমে গার্ল ইন স্কাউটিং আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। ১৯৭২ সালে ৫৬ হাজার ৩শত ২৫ জন সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ স্কাউটস তার যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের স্কাউট সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৭লক্ষ।
