নির্বাচন বর্জনকারী নুরুল এখন কী করবেন?

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ যে সব সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছে, নুরুল হকের সংগঠনও তার মধ্যে অন্যতম। চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি এখন ভিপি নির্বাচিত। এখন তিনি কি করবেন? এমন প্রশ্ন এখন শিক্ষার্থীদের মনে বিরাজমান।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নুরুল হকের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, বামজোট, ছাত্র ফেডারেশন একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এ সব সংগঠন এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল। একইসঙ্গে তারা আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, এই ধর্মঘট কি এখন স্তিমিত হয়ে যাবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সদ্য নির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। তিনি মনে করেন, এই নির্বাচন পুরো দেশবাসীকে হতাশ করেছে।

নুরুল হক সোমবার দুপুরে নিজ ক্যাম্পাসে ‘হামলার শিকার’ হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
নুরুল হক তাঁর ভিপি নির্বাচিত হওয়া ও এই নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ রকম নির্বাচন আমাদের কারওরই প্রত্যাশা ছিল না। ২৮ বছর পর এই নির্বাচন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল। জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের যে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে আশার আলোর সঞ্চার করা হবে। কিন্তু প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন যে কারচুপি করেছে, তা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো দেশকে হতাশ করেছে। আমর মনে করি, ১১ মার্চের নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’

‘আপনি তো এখন ভিপি হিসেবে নির্বাচিত। এখন আপনাদের অবস্থান কী হবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হকের ভাষ্য ছিল, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাদে বাকি সব সংগঠন এই নির্বাচন বর্জন করেছে। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নুরুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি। পটুয়াখালীতে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষার্থী এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা, মামলা ও কারাবরণের মুখোমুখি হন। ডাকসু নির্বাচনে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১ হাজার ৬২টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

Print Friendly

Related Posts