কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

শাহনাজ রহমতুল্লাহ ছিলেন দেশাত্ববোধক গানের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো: এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমায় যদি প্রশ্ন করে, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়।

শাহনাজ রহমত উল্লাহর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন তিনি। বারিধারা পার্ক মসজিদে বাদ জোহর তাঁর জানাজা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ননদ নাহার আবেদ। দাফন করা হবে বনানী সামরিক কবরস্থানে।

স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতুল্লাহ একজন ব্যবসায়ী। ব্যক্তি জীবনে শাহনাজ রহমত উল্লাহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মেয়ে নাহিদ রহমত উল্লাহ থাকেন লন্ডনে আর ছেলে এ কে এম সায়েফ রহমত উল্লাহ থাকেন কানাডায়।

বাংলাদেশের গানের জগতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম শাহনাজ রহমত উল্লাহ। ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিন ভাই বোন গান শিখেছিলেন। তাঁর বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন সুরকার, আরেক ভাই চিত্রনায়ক জাফর ইকবালও করতেন গান। তিনজনই স্ব স্ব ক্ষেত্রে খ্যাতি ছড়িয়ে গেছেন। আনোয়ার পারভেজ চলে গিয়েছেন ২০০৬ সালে। নায়ক জাফর ইকবালের অকাল মৃত্যু হয়েছে তারও আগে ১৯৯২ সালে। দুই ভাইয়ের মধ্যমণি বোনটিও বিদায় নিলেন।

১৯৬৩ সালে ১১ বছর বয়সে ‘নতুন সুর’ নামক চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে প্রথম টেলিভিশনে তার গাওয়া গান প্রচারিত হয়। তিনি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আলাউদ্দিন আলী, খান আতা প্রমুখের সুরে গান গেয়েছেন। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচী টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন।

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমত উল্লাহ’র গাওয়া চারটি গান স্থান পায় গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই সংগীতশিল্পীকে ১৯৯২ সালে একুশে পদক দেয়া হয়।

Print Friendly

Related Posts