বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। তবে কেউ যদি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হুমকি হয়, কিংবা আক্রমণ করতে আসে তাকে প্রতিহত করার প্রস্তুতি থাকতে হবে দেশের। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত সেনাদের আরো প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার তাগিদ দেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের পর এই ভবনে বসেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৪ বছর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এলেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের ধারাবাহিকতায় এবার নিজের অধীনে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করলেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে শের- ই- বাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিন বাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সক্ষমতা ও প্রস্তুতিতে পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। তবে কেউ যদি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হুমকি হয়, কিংবা কেউ আক্রমণ করতে আসে তাহলে প্রতিহত করার প্রস্তুতি আমাদের সব সময় থাকতে হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষায় নিয়োজিতদের আরো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষার মিশনে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশবাহিনী সবাই যাচ্ছে। যুদ্ধের সরঞ্জাম থেকে সবকিছুতেই নতুনত্ব আসবে। কিন্তু আমাদের যারা সেখানে যাবে তারা সব বিষয়ে পারদর্শী থাকবে সেটাই আমরা চাই।’

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যাব না। বরং তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

দেশের অন্যান্য খাতের মতো করে প্রতিরক্ষা খাতকেও সরকার গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিচ্ছে বলেও জানান সরকার প্রধান।

Print Friendly

Related Posts