বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। আজ রোববার সকালে রাজধানী কলম্বোর একটি বিলাসবহুল হোটেল ও তিনটি গির্জা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহত তিনশোরও বেশি। কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। গির্জায় ইস্টারের প্রার্থনার সময় এই হামলা চলে।
কলম্বো হামলায় সেনা ডেকেছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। একটি টুইট করে তিনি বলেন, এ জাতীয় হামলা একেবারেই কাপুরোষোচিত। দেশের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও দৃঢ় মনের পরিচয় দিতে অনুরোধ জানান তিনি।
I strongly condemn the cowardly attacks on our people today. I call upon all Sri Lankans during this tragic time to remain united and strong. Please avoid propagating unverified reports and speculation. The government is taking immediate steps to contain this situation.
— Ranil Wickremesinghe (@RW_UNP) April 21, 2019
রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। ইস্টারের প্রার্থনার সময় তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটে। একই সঙ্গে তিনটি হোটেলেও পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘিরে ফেলে এলাকা। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৮০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে গুরুতর জখম অবস্থায়, আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।’
https://twitter.com/twittochirag/status/1119847822260613120?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1119847822260613120&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Finternational%2Fmultiple-blasts-at-sri-lanka-churches-dgtl-1.982668
ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কলম্বো পুলিশ। কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা,কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জা-সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ শোনা গিয়েছে। সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল হোটেলেও চলে হামলা।
হোটেলগুলিতে অসংখ্য বিদেশি পর্যটক ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণের বিভিন্ন ছবি উঠে এসেছে টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণেই গির্জায় বেশ ভিড়ই ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত শ্রীলঙ্কা পুলিশের।