বঙ্গমাতা গোল্ড কাপে জয়ে শুরু বাংলাদেশের

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে ফেভারিটের মতোই শুরু করেছে বাংলাদেশ। সোমবার আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম দশ মিনিটেই একহালি গোলের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে! যদিও অফসাইডে কাটা পড়ে গোলমুখ পর্যন্ত টেনে নেয়া যায়নি সুযোগগুলো।

গোলের খাতা খুলতে বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি। ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মাঝমাঠের খানিক সামনে থেকে বাড়িয়ে দেয়া বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্রুতগতিতে গোলমুখে ছোটেন ইসরাত জাহান স্বপ্না। শেষে অতিথি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি।

কেবল বাংলাদেশেরই নয়, এই গোলে বঙ্গমাতা গোল্ড কাপের ইতিহাসেরই প্রথম গোলদাতা বনে যান স্বপ্না।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এ দফায় অবশ্য গোলরক্ষককে একা পেয়েও স্বপ্না লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে বসেন।

বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৩০ মিনিটে। কর্নার থেকে আসা বলে দারুণভাবে ফ্লিক করে জাল খুঁজে নেন কৃষ্ণা সরকার।

ম্যাচের ৩৩ মিনিটে স্বপ্নাকে নিজেদের বক্সে ফেলে দিয়েও বেঁচে যায় আমিরাত, রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ৩৮ মিনিটে অতিথি ডিফেন্ডার কৃষ্ণাকে ছোট বক্সে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে আবারও দৃষ্টি সরিয়ে রাখেন রেফারি!

দুই মিনিট পর কৃষ্ণার দর্শনীয় ক্রসে পা ছোঁয়ালেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মোসুমি। পরে সময়টুকুও আক্রমণ জারি রাখে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের ক্রমাগত আক্রমণের চাপে প্রথমার্ধে বলতে গেলে আমিরাতের অর্ধেই সিংহভাগ সময় খেলা হয়েছে। আরেকটু এগিয়ে বললে আমিরাতের গোলমুখের আশেপাশেই ছিল বলের ঘোরাফেরা!

মধ্যবিরতির পরও আক্রমণের ধার ধরে রাখে বাংলাদেশ। মারিয়া-সানজিদাদের খেলায় কিছুটা ক্লান্তির ছাপও চোখে পড়ে। তবুও ৭০ শতাংশের বেশি বলের দখল রেখে এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা।

আমিরাতের একটির বিপরীতে ২০টিরও বেশি শট অতিথিদের গোলমুখে নেয় স্বাগতিকরা। সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করে শুধু ব্যবধানই আর বাড়াতে পারেনি গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।

ছয় দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলছে টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ আছে ‘বি’ গ্রুপে। আরব আমিরাত ছাড়াও স্বাগতিকদের সঙ্গী কিরগিজস্থান। ‘এ’ গ্রুপে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে তাজিকিস্তান, লাওস ও মঙ্গোলিয়া।

Print Friendly

Related Posts