হুইল চেয়ার পেল শারীরিক প্রতিবন্ধী মুনতাহ

তালা প্রতিনিধি:  হুইল চেয়ারের অভাবে স্কুলে  যেতে পারেনা খেশরার শারীরিক প্রতিবন্ধী মুনতাহ  শিরোনামে  গত ৭ এপ্রিল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর  মুনতাহ একটি হুইল চেয়ার পেয়েছে।

গত সোমবার বিকালে  তালা উপজেলার তেতুলিয়া জমিদার বাড়ির বংশধর ইংল্যান্ড প্রবাসী মন্টি  সিদ্দিকির পক্ষ থেকে খেশরা ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিজ হাতে মুনতাহাকে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মুরশীদা পারভীন পাপড়ি, শালিখা কলেজের প্রভাষক আবু কওসার, মুনতাহার স্কুলের শিক্ষিকা জায়েদা খাতুন, আওয়ামীলীগ নেতা আবু বক্কর খান, শিপা’র নির্বাহী পরিচালক আহসান হাবীব, সাংবাদিক  মনজুরুল হাসান বাবুলসহ  গ্রামের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া অনেকে ফোন করে সহযোগিতা  করার আশ্বাস দিয়েছেন।

two+

মুরশীদা পারভীন পাপড়ি বলেন এই অসহায় মেয়েটির এখনও পর্যন্ত প্রতিবন্ধী কার্ড হয়নি এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক। মুনতাহ যাতে অতিদ্রুত প্রতিবন্ধী কার্ড হয় তার ব্যবস্থা আমি করব।

একটি প্রত্রিকায় এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ হয় যে কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা পায় না শারীরিক প্রতিবন্ধী মুনতাহ (৭) । মুনতাহ তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের দীনমজুর আলতাফ হোসেন খাঁ এর মেয়ে। সে শাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

সরকারী-বেসরকারী কোন প্রকার সাহায্য না পেয়ে মুনতাহ অত্যন্ত মানবতার জীবন-যাপন করছে। তার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকেই মুনতাহার দুই পা অকেজো ছিল। বয়স যখন ৩ মাস অনেক কষ্টে টাকা যোগাড় করে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, তার দুই পায়ের সঙ্গে কোমরের এবং হাটুর কোন সংযোগ নেই। অপারেশন করে জোড়া লাগাতে হবে। ৪ মাস বয়সে তার পায়ের প্রথম অপারেশন করা হয়। দেড় বছর বয়স অতিক্রম করার পরও সে দাঁড়াতে না পারায় দ্বিতীয় অপারেশন করার জন্য তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় । ধার-দেনা করে, মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ৩ বছর বয়সের মধ্যে তার মোট ৪বার অপারেশন করা হয়। তারপরও সে ভালভাবে হাটতে পারে না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অনেক কষ্টে হাঁটাচলা করে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মুনতাহার পা ভাল হওয়ার জন্য আরো উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার বাবা বলেন আমি গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব।

Print Friendly

Related Posts