শ্রীলংকায় সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা হাশিম নিহত?

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শ্রীলংকায় ইস্টার সানডের সন্ত্রাসী বোমা হামলার প্রধান হোতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে যাকে, সেই জাহরান হাশিম নিজেও সেদিন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেছেন, কলম্বোর শাংরি-লা হোটেলের হামলায় জাহরান হাশিম নিহত হন। সেদিন ঐ হোটেলে তিনিই হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইলহাম নামে দ্বিতীয় একজন আত্মঘাতী হামলাকারী।

গত রোববার বিভিন্ন গির্জা এবং হোটেলকে টার্গেট করে চালানো এই হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন ২৫৩ জন বলে জানাচ্ছে শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ।

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা আরও বলেন, শ্রীলংকার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, ইসলামিক স্টেটের ১৩০ জনের মতো জঙ্গী শ্রীলংকায় আছে। এদের মধ্যে ৭০ জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে শ্রীলংকার পুলিশ।

প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা স্পষ্ট করে বলেননি জাহরান হাশিম শাংরি-লা হোটেলের হামলায় ঠিক কী ভূমিকা পালন করেন। এই হামলার জন্য শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একটি জঙ্গী গোষ্ঠী ‘ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত’কে দায়ী করছে।

হাশিম শ্রীলংকার একজন কট্টরপন্থী জঙ্গী মুসলিম নেতা। তার অতটা পরিচিতি আগে ছিল না। তবে শ্রীলংকায় বেশ কিছু বুদ্ধ মূর্তির মুখ বিকৃত করার ঘটনায় তার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এর পর ইউটিউবে তার ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কোন কোন ভিডিওতে জাহরান হাশিম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলার ডাক দেন।

ইস্টার সানডের সন্ত্রাসী হামলার পর ইসলামিক স্টেট তার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে জাহরান হাশিমকে এমন সাতজনের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, যাদের অনেকেই সেদিনের আত্মঘাতী হামলাকারী বলে মনে করা হচ্ছে।

ভিডিওতে তাদের ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে ভিডিওতে একমাত্র জাহরান হাশিম ছাড়া অন্যদের মুখ ঢাকা ছিল।

শ্রীলংকার উপকুলীয় শহর কাত্তানকুডি থেকে এসেছেন জাহরান হাশিম। তার বোন এখনো সেখানে থাকেন। ভাইয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল দু’বছর আগে।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তার ভাই যা করেছে, তাতে তিনি স্তম্ভিত। -ও যদিও আমার ভাই, আমি কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারছি না। ও আর আমার কেউ নয়, বলছেন তিনি।

Print Friendly

Related Posts