মেসির মাইলস্টোনে লিভারপুল বিপর্যস্ত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে অনন্য মাইলস্টোন স্থাপণ করলেন লিওনেল মেসি৷ ন্যু ক্যাম্পে লিভারপুলের জালে দু’বার বল জড়ানোর পথে মেসি বার্সেলোনার হয়ে ৬০০ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন৷ বলাবাহুল্য, মেসির জোড়া গোলের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে লিভারপুলকে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনা৷

কাতালান ক্লাবের হয়ে অপর গোলটি করেন মেসির দোসর সুয়ারেজ৷ ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড ছেড়ে স্পেনে পাড়ি দেওয়া যাবৎ নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে এই প্রথমবার মাঠে নামেলন উরুগুয়েন তারকা এবং সেখানেই বাজিমাৎ৷ লিভারপুলের বিরুদ্ধেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের খরা কাটালেন সুয়ারেজ৷ প্রায় এক বছর পর ইউরোপীয়ান লিগে বার্সার হয়ে আবার গোল করলেন তিনি৷

ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা৷ ২৬ মিনিটের মাথায় জোর্ডি আলবার পাস থেকে লিভারপুলের জালে প্রথমবার বল জড়ান সুয়ারেজ৷ এটিও বার্সার একটি মাইলস্টোন গোল৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি তাদের ৫০০তম গোল৷ রিয়াল মাদ্রিদের পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসাবে প্রাইম ইউরোপীয়ান টুর্নামেন্টে এমন কৃতিত্ব অর্জন করে বার্সা৷

প্রথমার্ধটা যদি সুয়ারেজের হয়, তবে নিঃসন্দেহে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে ছিল মেসির দাপট৷ দ্বিতীয়ার্ধে ৭ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন আর্জেন্তাইন তারকা৷ ৭৫ মিনিটে সুয়ারেজের শট পোস্টে প্রতিহত হলে ফিরতি বল প্রিমিয়র লিগ জায়ান্টদের জালে ঠেলে দেন মেসি৷ বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে৷

৮২ মিনিটের মাথায় মেসি ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় তথা বার্সার তৃতীয় গোলটি করেন অনবদ্য ফ্রি-কিক থেকে৷ বার্সার হয়ে সবরকম টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এটি তাঁর ৬০০তম গোল৷ বাকি সময়ে দু’দলের কেউই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি৷

ন্যু ক্যাম্পের বড় জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল বার্সেলোনা৷ অ্যানফিল্ডে হঠকারীতা না করলে সালাহদের পক্ষে মেসিদের টপকে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট অর্জন সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ফুটবলমহল৷

Print Friendly

Related Posts