থাইরয়েড সেন্টারের উদ্যোগে ৩ দিন ব্যাপি “থাইরয়েড মেলা ২০১৯” উদযাপিত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দি থাইরয়েড সেন্টার লি. বাংলাদেশে প্রথম বারের মত বিশ্ব থাইরয়েড দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে ১ মে হতে ৩ মে ধানমন্ডির সুবাস্ত ইত্তেহাদ স্কয়ারে ৩ দিন ব্যাপি “থাইরয়েড মেলা ২০১৯” উদযাপন করেছে।

মেলার তৃতীয় দিনে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল “থাইরয়েড রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ও নতুন পদ্ধতিতে থাইরয়েড গ্রন্থির টিউমার ও ক্যান্সার চিকিৎসা।”

thairoed-3

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডাঃ ফৌজিয়া মোসলেম। সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম. ফজলূুল বারী ও ডাঃ মোহিত উল আলম ।

ডাঃ মোহিত উল আলম তার বক্তব্যে বলেন- আল্ট্রাসাউন্ড, কালার ডপলার ও ইলাস্টোস্ক্যান এর মাধ্যমে থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ নির্ণয় বিশেষত টিউমার ও ক্যান্সার খুবই সহজ। তিনি কোনরুপ সুঁই ফোটানো ছাড়া থাইরয়েড ক্যান্সার নির্ণয়ের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।

অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম. ফজলূুল বারী তার প্রবন্ধ “রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি” ও “মাইক্রো ওয়েভ” এর মাধ্যমে থাইরয়েড নডিউল ও থাইরয়েড ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম “রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি” ও “মাইক্রোওয়েভ” এর মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু করেন।

বাংলাদেশে ২-৩ শতাংশ লোক থাইরয়েড ক্যান্সারে ভুগছে। প্রায় ৫০ শতাংশ লোক থাইরয়েড নডিউল বা গয়টারজনিত সমস্যায় ভুগছে। গয়টার এবং নডিউল অপসারনে এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। থাইরয়েড ক্যান্সার ছাড়াও এই পদ্ধতি লিভার ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার ও কিডনি ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার সম্ভব। এই পদ্ধতিতে রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না, কিংবা রোগীকে হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন পড়ে না এবং এই পদ্ধতির কোন বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, খরচও কম হবে। দি থাইরয়েড সেন্টার এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

thairoed-2

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডাঃ ফৌজিয়া মোসলেম থাইরয়েড মেলা আয়োজনের জন্য দি থাইরয়েড সেন্টার লিমিটেডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম. ফজলূুল বারীর এই পদক্ষেপকে যুগান্তকারী আখ্যা দেন। পৃথিবীতে কোন রোগ বিষয়ে “থাইরয়েড মেলাই” প্রথম মেলা বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪৮ শতাংশ লোক আয়োডিনের অভাব ও গয়টারজনিত সমস্যায় ভুগছে, তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় আনার জন্য দি থাইরয়েড সেন্টারের এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক নতুন ধারা যোগ করবে বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি এবং দি থাইরয়েড সেন্টার একযোগে কাজ করার উপর এবং বাংলাদেশে থাইরয়েড রোগের সুচিকিৎসা, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

দি থাইরয়েড সেন্টার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম. ফজলূুল বারী তার সমাপনী বক্তব্যে থাইরয়েড রোগ বিষয়ক জনসচেতনতা সৃষ্টি ও এই রোগের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অর্জন তা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের জনকল্যাণমূলক কাজ ও পেশাদারিত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, সেই সাথে উপস্থিত ডাক্তারবৃন্দদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান ছাড়াও চিকিৎসা ক্ষেত্রের মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Print Friendly

Related Posts