একই মঞ্চে এমপি শাওন এবং মেজর হাফিজ

লালমোহনে সাবেক মেয়র এনায়েত কবীরের জানাজায় মানুষের ঢল
রিপন শান: বড় কোনো নেতার মৃত্যুই যেন সমকালীন রাজনৈতিক বিভাজনের দুনিয়ায় ঐক্যের আকর । লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনায়েত কবীরের মৃত্যু এমন ইঙ্গিত দিয়ে গেল লালমোহন উপজেলার মানুষকে ।
লালমোহন পৌরসভার সৃষ্টিলগ্ন থেকে একটানা ১৮ বছরকালধরে দোর্দণ্ডপ্রতাপে লালমোহন পৌরসভা শাসন করা সাবেক মেয়র এনায়েত কবীর তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ভক্ত অনুরাগী যেমন তৈরি করেছেন , নিজ দল এবং দলের বাইরে প্রতিপক্ষও কম তৈরি করেননি । যেটি এদেশের রাজনীতির সাধারণ নিয়ম । রাজনৈতিক ব্যারিকেড ডিঙিয়ে লালমোহনের সবরকমের মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন অকস্মাৎ না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়ে ।
lal-2
১৫ মে লালমোহন হাইস্কুলের মাঠে তার নামাজে জানাজায় দলমত নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি রৌদ্রদগ্ধ দুপুর কে চমকে দিল যেন । এনায়েত কবীরের শেষ বিদায়ী আয়োজনে উপস্থিত থেকে তার জীবন ও কর্মের উপর বিশদ আলোকপাত করেন- ভোলা তিন আসনের জনপ্রিয় সাংসদ ও লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি । ১৪ মে রাতে  লঞ্চযোগে ঢাকায় ফেরার সময় এমপি শাওন যখন শুনতে পান এনায়েত কবীর আর নেই – সাথে সাথেই তিনি ভোলা ইলিশা ঘাটের কাছাকাছি নেমে লালমোহন ছুটে আসেন এনায়েত কবীরের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর জন্য ।
একই মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন সাবেক মন্ত্রী মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম । বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আমিনুল ইসলাম খান, লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন হাওলাদার, মরহুম এনায়েত কবীরের একমাত্র ছোটভাই উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোহেল আজিজ শাহীন এবং মরহুমের একমাত্র সন্তান বাহালুল কবীর শাকিল ।
জানাজায় ইমামতি করেন লালমোহন মোল্লা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল হক । জানাজায় অংশ নেন লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলালসহ লালমোহন ও ভোলা জেলার বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
Print Friendly

Related Posts