জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার রাজিবুল হাসান ওরফে রাজিব। মারধরের সময় রাজিবের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার পরিবহন ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার চার শিক্ষার্থী হলেন-আজিমুশশান নওরোজ প্রণয় (ভূগোল ও পরিবেশ, ৪৩তম ব্যাচ), মাহমুদুল হাসান (ফার্মেসি , ৪৩তম ব্যাচ), বিপ্লব হোসেন (উদ্ভিদবিদ্যা, ৪৩তম ব্যাচ) ও আবুল কালাম আজাদ (মার্কেটিং, ৪৪তম ব্যাচ)। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকা থেকে দুটি মোটরবাইকে তেল ভরে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ওই চার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ডিপোর কাছাকাছি গেলে পরিত্যক্ত একটি বাসের ভেতর থেকে হট্টগোলের শব্দ শুনতে পান তারা। হট্টগোলের কারণ জানতে শিক্ষার্থীরা বাসটির দিকে এগিয়ে গেলে তিনজনকে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় দেখতে পান। শিক্ষার্থীরা রাজিবুলসহ ওই তিন জনকে বাসের ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে বলেন এবং বাসের মধ্যে ইয়াবা সেবনের কারণ জানতে চান। এ সময় ওই তিনজন শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন ও তাদের মারধর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা রাজিবুলকে আটক করে নিরাপত্তা কার্যালয়ে নেন। তবে তার সঙ্গে থাকা বাকি দুজন পালিয়ে যান।
মারধরের শিকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তারা বাসে ইয়াবা সেবন করছিল বুঝতে পেরে আমরা তাদের নেমে আসতে বলি। তারা বাস থেকে নেমে কোনো কথার উত্তর না দিয়েই আমাদের মারধর করতে শুরু করেন।’ মারধরের বিষয়ে জানতে রাজিবুল হাসানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘মাদক গ্রহণের বেশ কিছু চিহ্ন রাজিবুলের শরীরে পাওয়া গেছে। তাকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি দুজনকে খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি।’