ঈদের কেনাকাটা, মুখরিত রাজধানীর নিউ মার্কেট

শুক্রবার দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নিউ মার্কেট মোড় পর্যন্ত রাস্তার ফুটপাত ও দোকানগুলোয় বেচাকেনা শুরু হয়; দুপুরের পর ভিড় ভেড়ে যায়।

দেশ-বিদেশি ফ্যাশন হাউজের পাঞ্জাবির জন্য সুপরিচিত রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি দোকানগুলো সকাল ৯টা থেকে ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। শতাধিক পাঞ্জাবির দোকান রয়েছে এ এলাকায়।

পাশের প্রিয়াঙ্গন শপিং কমপ্লেক্স, কাদের আর্কিড, খান প্লাজা, লাটিমি শপিং কমপ্লেক্স, জাহান ম্যানশন শপিং কমপ্লেক্স, গ্লোব শপিং সেন্টার, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটেও রয়েছে পাঞ্জাবির সমাহার।

সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিকাংশ দোকানেই শোভা পাচ্ছে দেশি কারখানায় তৈরি পাঞ্জাবির পাশাপাশি ভারতীয় হরেক রকম পাঞ্জাবি। ছোট-বড় সবার জন্য সাড়ে ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার এমনকি ৪ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি রয়েছে এসব শোরুমে।

খাদি বিতানের বিক্রেতা বলেন, তাদের অধিকাংশ পাঞ্জাবিই ভারত থেকে আমদানি করা করা। কাতান কাপড়ের ওপর বিভিন্ন রকম কারুকাজ করা ভারতীয় পাঞ্জাবীগুলোর দাম এক হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।

মোনালিসা ফ্যাশনের দোকানেও অধিকাংশ পাঞ্জাবি ভারত থেকে আমদানি করা। ৫০ শতাংশ পাঞ্জাবিই ভারত থেকে আমদানি করা। দেশি পাঞ্জাবির চেয়ে ভারতীয় পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি, দামও তুলনামূলক বেশি।

এসব পাঞ্জাবির দোকানে ছোটদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।

প্রিয়াঙ্গন শপিং কমপ্লেক্সে পাঞ্জাবির পাশাপাশি রয়েছে ওড়না, হিজাব, থ্রি পিচ, থান কাপড়সহ হরেক রকম পোশাক বিক্রি হচ্ছে। পাশের কাদের আর্কেড ও খান প্লাজায় প্রস্তুত শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও ট্রাউজার পায়জামার দোকান রয়েছে।

এই এলাকার ফুটপাতগুলোর মতো নিউ মার্কেট কমপ্লেক্সের ভেতরে চক্রাকার চত্বরগুলোতেও বসেছে বাহারি রঙের পোশাকের পসরা। শো-রূমগুলোতেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা। তবে নারী ক্রেতারা থ্রি পিস ও শাড়ির জন্য বেশি ছুটছেন চন্দ্রিমা মার্কেটের শোরুমগুলোতে।

Print Friendly

Related Posts