ভোর রাতে বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা নিহত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ের নীচে এই ঘটনা ঘটে।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, ৮ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের উখিয়া থাইংখালি ১৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১ ব্লকের বাসিন্দা শামসুল আলম, সি-২ ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর আলম এবং টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি-ব্লকের বাসিন্দা হাবিব।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, নিহতরা অপহরণকারী দলের সদস্য ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। কিছু দিন আগে এসব অপহরণকারীরা ৩ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে পুলিশের অভিযানে বেগতিক দেখে অপহরণকারীরা ওই শিশুকে ফেরত দেয়।

তিনি বলেন, রাতে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ে অবস্থান করছে। এই খবরে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল পাহাড়ে অভিযানে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ তিন জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

ওসি প্রদীপ জানান, এ ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশের কনস্টেবল সৈকত বড়ুয়া, আরশেদুল ও সেকান্দর আহত হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি এলজি ও কার্তুজ উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts