টন্টনে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবেন মাশরাফিরা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ব্রিস্টল থেকে ঘণ্টা দেড়েকের পথ টন্টন। টন্টন নিরব নিস্তব্ধ ‘অ্যাংলো সেক্সন’ স্মৃতিবিজরিত দুর্গের শহর। টানা দু’দিনের বিশ্রাম দেওয়ায় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা নিজেদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন লন্ডনে। যারা এসেছেন তাদের মধ্যেও কোনো কিছু করার তাড়া নেই। ফাঁকা সময় পেয়ে নিজেদের মতো ফুরফুরে থাকার চেষ্টা করছেন সবাই।

বাংলাদেশের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবেন মাশরাফিরা। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ, পরে সিরিজ জিতেছিল নিজেদের মাটিতেও। বিশ্বকাপের আগেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনবারের দেখায় প্রতিবারই ক্যারিয়ানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের লড়াই ভিন্ন। বিশ্ব মঞ্চে প্রত্যাশার চাপ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণ দুর্দান্ত পারফর্ম করছে এখনও পর্যন্ত। সব মিলিয়ে লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও কাজটা সহজ হবে না।

আগে থেকেই ঘোষণা থাকায় অন রেকর্ড কথা বলতে চাননি কেউ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলা ১৭ তারিখে। অনুশীলনে দুদিন বিশ্রাম আছে। ১৪ তারিখ থেকে অনুশীলন।

ক্যারিবিয়ান শিবিরে পাওয়ার হিটার-ম্যাচ উইনারের অভাব নেই। নিঃসন্দেহে যে কোনো দলের জন্য আতঙ্ক ক্রিস গেইল-আন্দ্রে রাসেলরা। এছাড়াও আছেন শিমরন হেটমেয়ার, এভিন লুইস, শাই হোপরা। নিজেদের দিনে তারা যে কোনো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখতে নারাজ খালেদ মাহমুদ। তার মতে, টাইগার শিবিরেও ম্যাচ উইনারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আর আলাদা করে তিনি বলেছেন সাকিব আল হাসানের কথা, যিনি চলমান বিশ্বকাপে আছেন দুরন্ত ফর্মে, ‘শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ না, যে কোনো দলই আমাদের জন্য কঠিন। আমাদের সামর্থ্য আছে। সাকিবের একারই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে। তামিম, মুশফিকও সেটা পারে।

টন্টনের ভেন্যুর আকার (গড়ে ৬৫ মিটার) কি ক্যারিবিয়দের বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে? এমন একটা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ দলের মধ্যে।

 ক্রিকেটারদের ফুরফুরে ও চাঙা করতে দুই দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। দলের বেশ কয়েকজন ব্রিস্টল থেকে টন্টনে না এসে নিজের মতো করে সময় কাটাতে গেছেন লন্ডনে। টন্টনে যারা এসেছেন, সবাই বিশ্রামে। তবে আজ থেকেই ফের নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। শুরু হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর প্রস্তুতিও। বিশ্বকাপ অভিযানে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন খুব করেই। আপাতত অপেক্ষা সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের।

Print Friendly

Related Posts