মিন্নির পক্ষে উচ্চ আদালতে লড়ছেন যারা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হয়ে কারাগারে আছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মিন্নিকে কারাগার থেকে বের করতে উচ্চ আদালতে বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করবেন একদল আইনজীবী।

আইনজীবীদের নেতৃত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। তার দলে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার লিপি, অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহরিন মাসুদ ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার, অ্যাডভোকেট রোনা নাহরিন, অ্যাডভোকেট রোহানী ফারুক খান, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট দেবাজিৎ দেবনাথ, অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিবের মতো তরুণ আইনজীবীরা।

অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, ‘যে মুহূর্তে শুনেছি বরগুনার আদালতে মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি, তখন থেকেই আমরা তাকে আইনি সহযোগিতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। একটি অসহায় মেয়ের পক্ষে আমরা আইনি লড়াই করছি, এটাই আত্মতৃপ্তি। এ কাজে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট।’

আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। গুরুতর আহত রিফাতকে ওই দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরদিন (১৭ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর বরগুনার আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন জানালেও তার জামিন মেলেনি। নিম্ন আদালতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবীরা।

Print Friendly

Related Posts