চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে শোধ নিলেন অমিত শাহ!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পি চিদাম্বরম। কিছুক্ষণের নাটক শেষেই সিবিআইয়ের গাড়িতে তুলে নেওয়া হল একসময়ের হাই প্রোফাইল মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে। মনমোহন সিং জমানায় টানা ১০ বছর মন্ত্রী ছিলেন তিনি। সামলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও অর্থমন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তিনি এখন সিবিআইয়ের জালে।

তবে ঘটনাটা যেন অনেকটা প্রতিচ্ছবির মত। মনমোহন জমানায় এমনটাই ঘটেছিল অমিত শাহের সঙ্গে। ঠিক যেভাবে আজ কংগ্রেস বলছে এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। একইভাবে বিজেপিও তখন একই কথা বলেছিল।

গুজরাটের মন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার মামলার তদন্ত চলছিল। অন্তত ৬০টা মামলা ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোহরাবুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালে পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু হয় তার। তাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেইসময় গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। অভিযোগ ওঠে, তাঁর নির্দেশেই এনকাউন্টাকে মারা হয়েছে সোহরাবুদ্দিনকে।

২০১০ সালে সেই মামলা যায় সিবিআইয়ে হাতে। সেইসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। ২০১০-এর জুলাই মাসে সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অমিত শাহকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও অপহরণের মামলা হয়। তিনি জামিনের আবেদন জানালে সিবিআই আপত্তি করে। গুজরাত হাইকোর্টে চলে সেই মামলা। অমিত শাহ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রমাণ লোপাট করতে পারে বলে অভিযোগ করে সিবিআই।

তিন মাস পর অক্টোবরে জামিন পান অমিত শাহ। ঠিক পরের দিন সিবিআই আদালতে আবেদন করে যাতে গুজরাটে ঢুকতে দেওয়া না হয় অমিত শাহকে। ২০১০ থেকে ২০১২- দু’বছর গুজরাতে প্রবেশ করতে পারেননি অমিত শাহ।

সেইসময় ঠিক আজকের মতই অমিত শাহ ও বিজেপি বলেছিল যে বিরোধীদের টার্গেট করার জন্যই এই মামলা। ২০১৪-তে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অমিত শাহের বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। নিরপরাধ অমিত শাহকে অযথা অপদস্থ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিজেপি।

পাঁচ বছর পর ২০১৯-এর ছবিটা অনেকটা একই রকম। এবার সিবিআই জালে পি চিদম্বরম। আর কেন্দ্রে সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অমিত শাহ।

যে কারণে পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা হলো – আই এন এক্স মিডিয়া মামলা। এই মামলাতে মূল অভিযুক্ত চিদাম্বরাম এবং তাঁর পুত্র কার্তি। অভিযোগ, সেই সময় এফইপিবি-এর মাথায় বসে তিনি আইএনএক্স-কে বেআইনি কাজকর্ম করতে দিয়েছিলেন।

Print Friendly

Related Posts