একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা কাজী জাহাঙ্গীর

আহমদ সাব্বির রোমিও: ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই আদর্শের পতাকাতলে থেকে কাজ করতে চান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যিনি জীবনের দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে রয়েছেন। তিনি আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগর উত্তরের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন।

এক সাক্ষাৎকারে কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিন যুগের অধিক সময় তিনি দলকে ধরে আছেন, দলের সকল কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত থেকেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পতাকাতলে থেকে মরতে চান।

তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা জানাই এবং আওয়ামী লীগকে হৃদয় থেকে অনুভব করি।’

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আকবর হোসেন পাঠান তথা নায়ক ফারুকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় তার ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। এলাকার সবাই প্রত্যাশা করেন কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনকে মহানগর উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়া হবে।

কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন দীর্ঘ তিন যুগ ধরে ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, মিরপুর ও গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখনও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ পরিবারের সন্তান হিসেবে কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার নিজ এলাকা পাবনার নগরবাড়িঘাট, বেড়া, সুজানগর ও সাথিয়া থানা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। ১৯৭৫ পরবর্তী সময় ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বর্তমান ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি যুবলীগ ও আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ কমিটির সাথেও যুক্ত ছিলেন।

এছাড়াও ১৯৮৯ সাল থেকে ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন এবং রাজপথের অনেক আন্দোলনে বহুবার পুলিশি নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।

তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির প্রচার ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি এলাকার উন্নয়নকল্পে স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদসহ সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা ও অনুদান দিয়ে থাকেন। শুধু কাফরুল ও মিরপুর এলাকায় নয়, তার জন্মভূমি পাবনার সুজানগরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন তিনি।

কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন আস্থার সাথে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়তে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার থেকে শুরু বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত দাবী আদায়ে রাজপথে যুদ্ধ করেছি। অথচ আমরা নিজের অর্থ দিয়ে সব সময় সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। আমরা দলের ত্যাগী নেতাকর্মী হওয়া সত্ত্বেও দলে উপেক্ষিত হচ্ছি।

তিনি ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এবং দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন দলের স্বার্থে। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন তাকে মহানগর কমিটিতে উপযুক্ত পদে দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মী ও সমর্থক দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

Print Friendly

Related Posts