ধামরাইয়ে চাকরি নিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার

রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে পোশাক কারখানায় চাকরি নিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নারী। তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধর্ষিতা বাদী হয়ে দুজনের নাম দিয়ে ও অজ্ঞাতনামাসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে  মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী জানায়, তার স্বামী বিদেশ থাকে। তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তার পাঁচ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। চাকরি নিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছি। তিনি ওই ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবি করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানা গেছে, চাপাইনবাবগঞ্জ সদরের এক মেয়ের (২৩) সঙ্গে পরিচয় হয় ধামরাইয়ের ইসলামপুরের মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাড়াটিয়া বালিথা গ্রামে অবস্থিত একেএইচ নামক পোশাক কারখানার শ্রমিক টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাইশানা গ্রামের জসিম উদ্দিনের। পরিচয়ের একপর্যায়ে ওই নারীকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় বালিথা গ্রামে। তাদের মধ্যে কথা হয় চাকরি নিতে হলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ লাগবে। ১০ হাজার টাকাসহ গত সোমবার মেয়েটি যায় ওই পোশাক কারখানার সামনে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে মেয়েটি। সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে জসিম উদ্দিন আসে চাকরিপ্রত্যাশী মেয়েটির কাছে।
পরে মেয়েটিকে বলা হয় ঘুষের টাকা দিতে হবে এক অফিসারের কাছে। সে বাসায় আছে সেখানে যেতে হবে। মেয়েটি সরল বিশ্বাসে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যায়। প্রকৃতপক্ষে মেয়েটিকে নেওয়া হয় জসিম উদ্দিনের ভাড়াবাড়িতে। বাড়ির মালিক আবদুর রব। ওই বাড়িতে থেকে জসিম উদ্দিন একেএইচ পোশাক কারখানায় চাকরি করে। সেখানে আগে থেকেই নাহিদসহ তিন-চারজন বসা ছিল। এ সময় মেয়েটিকে জাপটে ধরে মুখ বেঁধে জসিম, নাহিদসহ পাঁচ-ছয়জন ধর্ষণ করে।একপর্যায়ে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার ওসি  (অপারেশন)  মাসুদুর রহমান বলেন,নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Print Friendly

Related Posts