ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অনেকদিন ধরেই উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সেই সঙ্গে পারফর্ম করতে ভুলে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। তবে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে পথে ফেরার আশা দেখালেও সিনিয়রদের দায়িত্ববোধ দেখা যায়নি। ফলে পরের ম্যাচেই হেরে যায় আফগানিস্তানের কাছে। কিন্তু শেষমেষ রান পেলেন সিনিয়ররা। আর জ্বলে উঠলেন বোলাররা। বাংলাদেশের ১৭৫ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৩৬ রানে। ফলে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলো সাকিব আল হাসানের দল।

দলে দুটো বড় চমক নিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলো টাইগাররা। ব্যর্থ সৌম্যর জায়গায় খেললেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে ভেলকি দেখানোর জন্য ডাকা হয়েছিলো উঠতি লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। দুজনেই নিজেদের শুরুটা ভালোভাবে রাঙিয়েছেন। উজ্জ্বল ছিলেন মুস্তাফিজুর ও শফিউল ইসলাম। প্রায় তিন বছর পর খেলতে নামা শফিউল তিনটি উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ দুটি উইকেট শিকারের পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশত উইকেট ছাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিষিক্ত বিপ্লবও নিয়েছেন দুটি উইকেট।

লিটন ও শান্ত দুই ওপেনার শুরুতে ২৯ বলে ৪৯ রান করেন । ১১ রানে ফেরেন শান্ত। এরপর ২২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন লিটন। সাকিব কালও ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। এ দুজন ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন। মুশফিক ২৬ বলে ৩২ রানে ফেরেন। আর মাহমুদউল্লাহ ৪১ বলে ৫টি ছক্কা ও একটি চারে ৬২ রান করেন। শেষদিকে নেমে আফিফ কিংবা মোসাদ্দেক রানকে আর বাড়াতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের হয়ে জার্ভিস ৩টি ও এমপফু ২টি উইকেট নেন।

১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হুড়মুড়িয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ৬৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারের জন্য অপেক্ষায় থাকা জিম্বাবুয়ের জন্য একটু আনন্দ এনে দেন রিচমন্ড মুুতুম্বানি। জার্ভিসকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ার পথে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশত করেছেন মুতুম্বানি। যদিও তাতে হার এড়াতে পারেননি, শুধু ব্যবধানটাই যা কমেছে। আর টানা তিন হারে টুর্নামেন্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মাসাকাদজাদের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

Print Friendly

Related Posts