সম্রাটের জীবনযাপন বিলাসবহুল ছিল॥ দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ যুবলীগের ছেলেদের চালাতে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ক্যাসিনোতে জড়াতে পারেন বলে ধারণা করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী। ক্যাসিনো গডফাদার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেছেন শারমিন চৌধুরী। সম্রাট গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সম্রাট গ্রেপ্তারের দিনই শারমিন চৌধুরীর বাসায়ও তল্লাশি চালায় র‌্যাব। তবে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব কিছুই পায়নি বলে জানান তিনি।

শারমিন বলেন, যে কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি চাই আমি। দুই বছর ধরে সম্রাট বাসায় না আসলেও আমাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সম্রাটের অফিসে যেতেন এবং সম্রাট তার ভরণ-পোষণের টাকা নিয়মিত দিতেন বলেও জানান তিনি।

গণমাধ্যমে সম্রাটের সম্পদ নিয়ে নানা তথ্যে বিষয়ে শারমিন বলেন, সম্রাটের কোনো সম্পদ নেই। ক্যাসিনো চালিয়ে যে আয়, তা দলের (যুবলীগ) পেছনে খরচ করতো। তারপরে যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে, তা দিয়ে সে সিঙ্গাপুর নয়তো দেশে জুয়া খেলে। তার সম্পদ বলতে বর্তমানে কিছুই নেই।

তবে সম্রাটের জীবনযাপন বিলাসবহুল ছিল জানিয়ে শারমিন বলেন, সম্রাট আগে থেকেই সম্রাট, তার চালচলনই ছিল সেরকম।

সম্রাটের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে আপনি সেটা জানতেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার অফিসের ২০০ গজের মধ্যে থানা পুলিশ রয়েছে। তারাই জানতো না, আমি কিভাবে জানবো। সে কিভাবে ক্যাসিনোর মধ্যে জড়ালো সেটি আমি জানিনা।

‘ও জনপ্রিয় ছিল। কারণ দল পালত। উত্তরেও তো একজন নেতা আছেন নিখিল। তার তো এত জনপ্রিয়তা নেই।’

সম্রাটের স্ত্রী বলেন, ‘এখন আর রাজনীতি আগের মতো নেই যে বাসায় খেয়ে লোকজন ডাকলে আসবে। তাদের টাকা দিতে হয়।’

গত ১৮ বছর আগে সম্রাটের সঙ্গে পরিচয় হয় শারমিন চৌধুরীর। এবিষয়ে তিনি বলেন, সম্রাটের সঙ্গে ২০০১ সালে আমার পরিচয় হয়। তখন খুব ভদ্র ও সোজা টাইপের মানুষ ছিল। ওই বছরের জুন মাসে সম্রাটের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্ত্রী সামনে আসবে, রাজনীতি করবে এসব সম্রাট পছন্দ করতেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ও চাইত না আমি মিডিয়াতে আসি।’ তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, সরকার ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে আমার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে আমি এতে বিব্রত নই। এটা আমার ভালো লেগেছে।

সিঙ্গাপুরের এক নারীর সঙ্গে সম্রাটের সর্ম্পকের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার সঙ্গে দুবছর হলো সর্ম্পকের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেজন্য সিঙ্গাপুরে চায়না-মালয়েশিয়ান এক নারীর সাথে মনে হয় ওর সর্ম্পক হয়েছে। সম্রাটের পেছনে কারা আছে, এই প্রশ্নের জবাব জানেন না বলে এড়িয়ে যান শারমিন।

এরআগে রোববার বিকেলে সম্রাটের ডিওএইচএসের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-২। তবে অবৈধ কিছু মেলেনি। র‌্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কিছু পাইনি।

রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

Print Friendly

Related Posts