ওয়ালটন এসিতে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি’র সুযোগ

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশ্বিনের শেষ। কিন্তু প্রকৃতি এখনো উষ্ণ। বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম যাচ্ছে না। অস্বস্তিকর এ অবস্থা থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কেনার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের শঙ্কা তাদের দ্বিধায় ফেলছে। এক্ষেত্রে এসি ক্রেতাদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এখন ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ১২ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া ওয়ালটন বাজারে এনেছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইসি।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এ উপলক্ষ্যে ৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫। এর আওতায় ক্রেতাদের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে উদ্বুদ্ধ করতে এসিতে বিদ্যুৎ বিল ফ্রি সহ নানান সুবিধা দেয়া হচ্ছে। রয়েছে ফ্রি ইন্সটলেশনসহ বিভিন্ন অংকের নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।

জানা গেছে, ওয়ালটন এসিতে রয়েছে সঠিক বিটিইউ’র নিশ্চয়তা। সংযোজিত হয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর। ফলে ওয়ালটন এসি ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ী রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহ করে। ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। কম্প্রেসরের স্থায়ীত্বও বাড়ে। এসি চালুর সময় তুলনামূলক কম শব্দ উৎপন্ন করে।

ওয়ালটন ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারে আছে টার্বোমুড। যা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তি। যা ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এবং এসির সিইও মোহাম্মদ তানভির রহমান জানান, এসব সুবিধার পাশাপাশি যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসির বদলে ২৫ শতাংশ ছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মাত্র ৪,৯০০ টাকা ডাউন পেমেন্টে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তির সুবিধা, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই (ইক্যুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট), ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং টুইন-ফোল্ড ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়ের পর বাজারজাত করা হচ্ছে। যার ফলে ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন এসি এখন হটকেক।

তিনি বলেন, দেশের এসি বাজারে এককভাবে শীর্ষে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এরই ধারাবাহিকতায় এসি রপ্তানিতে হুন্দাই, রিলায়েন্সসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ওয়ালটন পণ্যের গুণগতমানে আকৃষ্ট হয়ে বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠানই এখন বাংলাদেশ তথা ওয়ালটনমুখী।

প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জানান, ওয়ালটন এসির রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিভাগ। যেখানে দেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত এসির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্প্লিট এসির ক্রিস্টালাইন সিরিজে এক, দেড় এবং দুই টনের আয়োনাইজার, টুইন-ফোল্ড ইনভার্টার এবং স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার বাজারে ছাড়া হয়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে। যা ভয়েস কমান্ড ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। অর্থাৎ ‘ভয়েস কন্ট্রোল’ বা ‘অ্যামাজন ইকো’র মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই স্মার্ট এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানো, কমানো, চালু বা বন্ধ করা যায়।

বর্তমানে বাজারে রয়েছে ভেনচুরি, রিভারাইন, রিভারাইন প্রো এবং ক্রিস্টালাইন সিরিজের এক, দেড় এবং দুই টনের বিভিন্ন মডেলের স্প্লিট এসি। ওয়ালটনের এক টনের স্প্লিট এসির দাম ৩৬,৯০০ টাকা। দেড় টনের দাম ৪৫,৯০০ টাকা থেকে ৬৮,০০০ টাকার মধ্যে। আর দুই টনের এসির দাম পড়বে ৫৬,৯০০ টাকা থেকে ৭৬,৪০০ টাকা।

স্প্লিট এসি ছাড়াও ৪ ও ৫ টনের সিলিং ও ক্যাসেট টাইপ এসিও উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। পাশাপাশি, শিল্প-কারখানা, কার্পোরেট প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবনসহ মাঝারি ও বড় আকারের স্থাপনার জন্য ১৭ এবং ২৫ টনের ভিআরএফ (ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফো) এসি তৈরি করছে ওয়ালটন।

গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার। সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
#

Print Friendly

Related Posts