সম্রাটকে ৬ মাসের সাজা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে এক অভিযান শেষে একথা জানান র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তার হেফাজতে থাকা দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়া গেছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে এ ঘটনায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সম্রাটের ওই কার্যালয়ে অভিযানে ক্যাঙ্গারুর চামড়া ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ, ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান সারওয়ার। তিনি বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মাদকের একটি মামলা, অস্ত্র রাখার ঘটনায় অস্ত্রের একটি মামলা এবং ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের একটি মামলা হবে।

শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে। দুপুরে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনার আসে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অনেকের ধারণা ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট। এছাড়াও সম্রাটের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান নেন সম্রাট। সেখানে অবস্থানকালে শতাধিক সমর্থক তাকে পাহারা দিয়ে রাখেন। এরপর সম্রাটের অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায় সম্রাট তাদের নজরদারিতে আছেন। এরই মাঝে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তলব করা হয় তার ব্যাংক হিসাবও।

এদিকে, কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারের সময়  মদ্যপ থাকায় তাকে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।

Print Friendly

Related Posts