কোষ গবেষকরা পেলেন এবারের চিকিৎসার নোবেল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রাণীর কোষ কীভাবে অক্সিজেন প্রাপ্যতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, সেই রহস্য উন্মোচন করে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট গতকাল সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। খবর এএফপি ও বিবিসির।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক স্যার পিটার জে র‌্যাটক্লিফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম জি কায়েলিন ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেগ এল সেমেনজা। তারা তিনজনই হাইপোক্সিয়া গবেষক।

হাইপোক্সিয়া এমন এক অবস্থা যেখানে মানবদেহ কিংবা দেহের কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গ বা অংশের কোষ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এতে পুরো শরীর কিংবা নির্দিষ্ট অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে। ওই কোষ কীভাবে অক্সিজেনের উপস্থিতি অনুভব করে এবং সাড়া দেয় তা আবিস্কার করেছেন গবেষকরা।

নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন উপায় উদ্ভাবনের জন্য গতবার নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি অ্যালিসন এবং জাপানের তাসুকু হোনজো।

এক জুরির স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মধ্যে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি গত বছর সাহিত্যের নোবেল স্থগিত করে। এবার তাই একসঙ্গে দুই বছরের নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার পদার্থ, বুধবার রসায়নে এ বছরের নোবেল জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম। এরপর শুক্রবার শান্তি এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম জানানো হবে।

১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। তার দেওয়া বিপুল অর্থেই পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে তালিকায় অর্থনীতি যুক্ত হয়। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মারা যান আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব পায় সুইডিশ একাডেমি এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।

Print Friendly

Related Posts