২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

রিপন শান: ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করার জন্য ৮ অক্টোবর মধ্যরাত ১২ টা থেকে ভোলার ইলিশা নদী থেকে চরফেয়াল পর্যন্ত ১০০ কিলো মিটার ও ভেদুরিয়া থেকে চররুস্তম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকায় আগামী ৩০ অক্টোবর রাত ১২ পর্যন্ত  এসময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত ও ক্রয়-বিক্রয়ও নিষিদ্ধ করা হয়।

ঘুরে দেখা গেছে,সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে অনেক জেলে নৌকা ও ট্রলার নদী থেকে উঠিয়ে নিয়েছেন।  ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন এলাকার জেলেরা জানান, সরকার আমাদের ভালোর জন্য ২২ দিন নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই ২২ দিন নদীতে মাছ শিকারেযাব না।

রাজাপুর এলাকার দুই জেলে  বলেন, এ বছর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সব জেলে মেনে চলবেন।  কারণ মাছধরা বন্ধের আগে আমরা চাল পেয়েছি এবং সমিতির কিস্তির জন্য ব্যাংক ও এনজিওর অফিসাররা আমাদের তাড়া দেবে না।  আমরা সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।

ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে ৩০ অক্টোবর রাত ১২ টা ১ মিনিট পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছশিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এজন্য আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সতেচনামূলক সভা করেছি।আশাকরি এ বছর জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ২২দিনের জন্য ভোলার নদীতে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। জেলেরা যাতে এই নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ সময় জেলেদের সংসার চালাতে যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য তাদের মাঝে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এছাড়াও এসময় ঋণগ্রস্ত জেলেদের কাছ থেকে যাতে ঋণের কিস্তি আদায় না করে সে জন্য সব এনজিও এবং ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে।  কোনো ব্যাংক ও এনজিও যদি এই নির্দেশ না মানে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly

Related Posts