যুবলীগের বহিষ্কৃত কাজী আনিস ও শ্বশুর বাচ্চু মুন্সীর অপরাধ সাম্রাজ্য

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা: যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিস ও শ্বশুর আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য মেম্বার আবুল হোসন বাচ্চু মুন্সীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়েছে।দন্ড বিধি ৩৮৫ ও ৩৮৬ ধারা মোতাবেক মামলাটি করা হয়েছে গত ১৭/১০/২০১৯ তারিখে। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকার কয়েক শত পরিবারের গরীব অসহায়দের থেকে চাঁদা নিয়েছে কাজী আনিস ও তার শশুর আবুল হোসন বাচ্চু মুন্সী । তারা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় গড়েছেন অপরাধের সাম্রাজ্য।

জানা যায়, হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে ওঠা কাজী আনিস এক সেনা সদস্যের স্ত্রী সুমীকে সন্তানসহ ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে। সুমীর বাবা কাজী আনিসের শশুর আবুল হোসন বাচ্চু মুন্সী সেনাবাহীতে শৃংঙ্খলা ভঙ্গের কারনে চাকুরীচ্যুত হয়ে একসময় মানবেতর জীবন যাবন করতো। জামাতা কাজী আনিস যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হওয়ার পর থেকে হাতে পেয়ে যান আলাদিনের চেরাগ আর হয়ে যান এলাকার কিং। চাকুরী বানিজ্য, চাঁদাবজি ও টেন্ডারবাজি করে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘বাচ্চু এন্টারপ্রাইজ’ এর মাধ্যমে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা, আলিশান বাড়ি, ঢাকায় আছে কয়েকটি ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন মার্কেটে দোকান। মাসে মাসে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত।

আনিসের অবৈধ ক্ষমতায় আবুল হোসন বাচ্চু মুন্সী রমনা হোটেরের এক কক্ষ দখল করে নিজের অফিস করে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার ঢাকা শহরের অন্যন্য এজেন্ট তাড়িয়ে দিয়ে নিজেই নিজেই এজেন্ট হয়ে জমজমাট ব্যবসা শুরু করেন নিজস্ব কয়েকশত কর্মচারি দ্বারা।

আনিসের ক্ষমতার অপব্যবহারে ও চোখ রাঙ্গানীতে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করিয়ে ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৮,৯ ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন। জামাতা আনিস ও নিজের ক্ষমতায় এলাকায় খাটাতে থাকেন কঠোর প্রভাব। গোপালপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ঢোকান নিজের পকেটে এবং গরীব সরদার (বেহারা) প্রায় ১০০ পবিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা চাঁদা নেন। তাকে ছাড়া এলাকায় কোন সালিশ হতো না, সালিশের নামে যে জরিমানা করা হয় সব যায় তার পকেটে।

তার অপরাধে বিরুদ্ধে কথা বলায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কাজী আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলের পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে । আহত হয়ে অনেক দিন ভুগে কাজী শহর আলী গত মাসে মারা যায়। যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিস ও তার শশুর বাচ্চু মুন্সীর ফোনে কোন ভুক্তভোগীর মামলা নিতো না মুকসুদপুর থানা পুলিশ। এলাকার অতিষ্ঠ জনগণ এখন সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ/এসএসএফ 

Print Friendly

Related Posts