এগিয়ে মৌসুমি!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে চিত্রনায়িকা মৌসুমি এগিয়ে আছেন বলে দাবি করেছেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় নিজের ফ্যান গ্রুপের কাছে এ দাবি করেন তিনি। তবে ভোটের ফলাফল সম্পর্কে অফিসিয়ালি কিছুই জানানো হয়নি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মৌসুমির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।

সভাপতি পদে মৌসুমি বিজয়ী হয়েছেন বলে বেশ কিছু অনলাইনপোর্টালে এরই মধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমনই একটি খবর শেয়ার করে মৌসুমিকে অভিনন্দন জানান চিত্রনায়ক নীরব। যদিও কিছুক্ষণ পর সেই স্ট্যাটাসটি তিনি টাইমলাইন থেকে সরিয়ে ফেলেন।

এর আগে সকাল থেকে উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি  ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিএফডিসি শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সমিতির মোট ভোটার ৪৪৯ জন; যা গত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যার চেয়ে ১৮১ জন কম। জানা গেছে, এবার ভোট পড়েছে ৩৮৬টি; যা মোট ভোটের ৮৬ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সমিতির ২১টি পদের মধ্যে নির্বাচন হয় ১৮টিতে।
এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই বিজয়ী হিসেবে নাম এসেছে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদের।

ভোটের আগে নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও সব কিছু শেষে ভোট গ্রহণের দিনে প্রার্থীরা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টির কথাই জানান।
শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন পীরজাদা শহিদুল হারুন ও বিএইচ নিশান। আপিল বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে আলম খান, সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোহানুর রহমান সোহান ও রশিদুল আমিন হলি।

নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ মোতায়েন করে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। শুধু ভোটার, সাংবাদিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের এফডিসির গেট দিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়। ভোটাররা এফডিসির গেটে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিতে প্রবেশ করেন। বিশেষ পরিচয়পত্র নিয়ে সাংবাদিকরা ভেতরে প্রবেশ করেন।

নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করতে চাইলে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আপিল ফি (২০০০ টাকা) জমা দিয়ে আপিল করতে পারবেন। আপিল দাখিলের শেষ তারিখ ২৭ অক্টোবর। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের আপত্তির শুনানি ও নিষ্পত্তির তারিখ ২৯ অক্টোবর। নির্বাচনী চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বিদায়ী পরিষদ নবনির্বাচিত পরিষদকে দায়িত্ব অর্পণ করবেন।

Print Friendly

Related Posts