জাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে চলমান সংকট নিরসন করতে রোববার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বসা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আলোচনায় সমাধান আসেনি। কার্যত কোন সমাধান না নিয়েই ফিরে এসেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিকে আন্দোলনকারীদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। একইসাথে আন্দোলন স্থগিত করতে আহবান জানিয়েছেন তিনি। তবে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতিত না দেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর আড়াইটায় ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’- এর মুখপাত্র দর্শন বিভাগের শিক্ষক রায়হান রাইন এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘গতকাল শিক্ষামন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’- এর ব্যানারে আন্দোলনরত শিকদের আমন্ত্রন জানান। এসময় তিনি আমাদের কছে থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিষয়গুলো জানতে চান। আমরা বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, অযোগ্যতা, একগুয়েমি ও অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর সকল বিষয় তুলে ধরি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়গুলো উত্থাপন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছেন তিনি নিজের জায়গা থেকে কাজ করবেন পাশাপাশি আমাদেরকেও ইতিবাচক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহবান জানান। কিন্তু দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি ছাড়া শুধুমাত্র অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে পারিনা।’

এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় অবরুদ্ধ ছিল। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থীর জরুরী ভিত্তিতে সনদপত্র উঠানোর জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কথা চিন্তা করে দুপুরে তালা খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে দেখলাম আমরা তালা খুলে দেওয়ার পরেও প্রশাসন তাদের তালা মেরে দিয়ে বললো এখান থেকে সনদপত্র উঠানো যাবে না। এখানে স্পষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এরকম ন্যাক্কারজনক কাজের নিন্দা জানাই।’

এদিকে টানা দশম দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ও নবম দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন অবরোধের আওতায় থাকলেও গতকাল রোববার থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে এই অবরোধের আওতায় আনা হয়।

Print Friendly

Related Posts