ধামরাইয়ে ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা, চুলা ভাংচুর, বন্ধের নির্দেশ

রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাই উপজেলার ডাউটিয়া এলাকায় ৪টি ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র  না থাকার অভিযোগে ঈগল ব্রিক্স,খাঁন ব্রিক্স, হোসেন ব্রিক্সকে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভেকু দিয়ে ওই চারটি ইটভাটার চুলা ভেঙ্গে দিয়ে ইটভাটা গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মাহাবুর রহমান,আরেক সহকারি পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সারাদেশের ন্যায় ধামরাই উপজেলায় কৃষি জমিতে অবৈধ ভাবে ইটভাটা ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ইটভাটাগুলোতে চলমান অভিযানে ৪টি ইটভাটাকে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও চারটি ইটভাটার ইট পুরানো চুলা ভেকু দিয়েছে এবং ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  ২০১৯ সালে ইটভাটার উপর নতুন আইনে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র না পেয়ে ইটভাটা চালু করতে পারবে না। কৃষি জমির উপর ইটভাটা করতে পারবে না, এমনকি আশে-পাশে বসত বাড়ি থাকলে সেখানেও ভাটা করা যাবে না। এছাড়াও এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ধামরাই উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত প্রায় দুইশতাধিক ইটভাটা কৃষি জমির উপর গড়ে উঠেছে। এর বেশির ভাগ ইটভাটার বৈধ কোন কাগজ-পত্র নেয়। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টেডলাইন্সেস নিয়ে ইটভাটা চালু করে মালিকরা। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ছাড়ায় ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সম্পাদক আব্দুর রশিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে ইটভাটা গুলো চলছে। এতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি ফলজ গাছে ফল ধরে না,ফসলে তেমন উৎপাদন নেয়। প্রতিবছর শত শত একর কৃষি জমি থেকে উপরের মাটি নিয়ে যাছে ইটভাটার মালিকরা। নবযাতক শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে জম্মাছে। একদিকে কৃষি জমির কমে যাছে অপর দিকে ইটভাটার বিষক্ত ধোয়ায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতিতে ইটভাটার মালিকদের কিছু আসে যায় না কিন্তু তারাতো কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বনে যাছে। তাই অবৈধ ইটভাটা গুলো অতিবিলম্ভে বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন সাধারন জনগণ।

ধামরাই ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,আগে থেকে যদি আমাদের নোটিশ দেওয়া হইত তাহলে আমরা নতুন করে ভাটা চালু করতাম না। এখন যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

Print Friendly

Related Posts