ঐতিহাসিক শহীদ নূর হোসেন দিবস

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঐতিহাসিক ১০ নভেম্বর রোববার শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন।

বুকে-পিঠে গণতন্ত্র মুক্তি পাক/স্বৈরাচার নিপাত যাক লিখে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে পুলিশ তাকে গুলি করে। এর পর থেকে দিনটি গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করবে। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (প্রয়াত) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাষণ দিয়ে সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা স্মরণে দিবসটি পালন করছে তারা।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহীদ হন। নূর হোসেনের আত্মদান স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তার আত্মাহুতির ধারাবাহিকতায় আন্দোলন আরও বেগবান হয়। অবশেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য দলের সব শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ছাড়া বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সিপিবি, জেএসডি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, শহীদ নূর হোসেন সংসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মোটরচালক লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ-দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।

Print Friendly

Related Posts