সাপাহারে ১০ হাজার আম গাছ কর্তনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় রাতের অন্ধকারে প্রায় ৬৩ বিঘা জমির ১০ হাজার আমগাছ হত্যা করেছে  দুর্বৃত্তরা,  এ ঘটনায় অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ পরিবেশগত যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। এমতাবস্থায় দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে যৌথভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ  করেছে পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠন এবং  ইনভায়রনমেন্ট ফর চিলড্রেন্স।

১৫ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুরের ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।

সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাতিন, ইনভায়রনমেন্ট ফর চিলড্রেন্স এর সভাপতি খশরু আহম্মেদ, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, সুবন্ধন সংগঠনের  সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন,  সাধারন সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন, সহ-সাধারন সম্পাদক মহসীন হোসেন, ঢাকার শেকড়ের এডমিন মোতালেব মাশরাকি, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সদস্য মোঃ নাসির হোসেন, মোঃ উজ্জল প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, প্রায়ই দেখা যায় নানা অজুহাতে শত্রুতার কারণে বৃক্ষ হত্যার মত ঘটনা ঘটছে, যা খুবই দুঃখজনক।  সৃষ্টির শুরু থেকেই গাছ মানুষের প্রাণ সঞ্চালনে কাজ করে যাচ্ছে। গাছ মানুষের পরম বন্ধু এই কথাটি বর্তমানে বেমানান হয়ে পড়ছে। শিল্পায়নের এই যুগে গাছ থেকে মানুষের ভালোবাসা ও যত্নশীলতা কমে যাচ্ছে। ক্রমাবনতিশীল পরিবেশ ভারসাম্য, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিহত করে পরিবেশ সুস্থ ও নির্মল রাখতে বৃক্ষর কোন বিকল্প নেই। বৈশ্বিক উষ্ণতার নেতিবাচক প্রভাবে এখন সারা পৃথিবীতে ঝড়, জলোচ্ছাস, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, মেরু অঞ্চলের হিমবাহ গলে যাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস করার লক্ষে বিশ্বব্যাপি চলছে অধিকহারে বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচীর মত নানা ধরনের কর্মসূচী। পরিবেশ সংরক্ষনে গাছের ভূমিকা অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্পষ্ট। এমতাবস্থায় ১০ হাজার আমগাছ হত্যার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

Print Friendly

Related Posts