সিকদার আবুল বাশার আর নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ লেখক ও গতিধারা প্রকাশনীর কর্ণধার সিকদার আবুল বাশার আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার ঢাকার বাংলাবাজারের কর্মস্থলে তার আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক হয়। সেখান থেকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে তার প্রকাশনা সংস্থায় এসেছিলেন। সেখানেই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে প্রকাশনা জগতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে স্বজন ও সহকর্মীরা ছুটে আসেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাবাজার চত্বরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে দাফনের উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

বইশিল্পী খ্যাত সিকদার আবুল বাশার বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি একজন নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ, বিনয়ী প্রকাশক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তিনি ১৯৬৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঝালকাঠি জেলার তারুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুস সামাদ সিকদার ও মা সৈয়দা আশরাফুন নেছা। তার দাদা তাহসিন উদ্দিন সিকদার ছিলেন বাংলাসহ আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষায় অভিজ্ঞ।

সিকদার আবুল বাশার জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদশিল্পীর পুরস্কার এবং সেরা মানের গ্রন্থ প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা পুরস্কার পান।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই।  পশ্চিমবঙ্গের কবি সাকিল আহমেদ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেন- গতিধারা প্রকাশনার সত্বাধিকারি সিকদার আবুল বাশার, যিনি আমাদের চা বিস্কিট খাইয়েছিলেন। কত আন্তরিকতা পূর্ণ ছিল তাঁর ব্যবহার।  মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম আমি আর লুৎফর চৌধুরী ভাই। নিজেই কভার ডিজাইন পেজ মেক আপ করতেন।  মুর্শিদাবাদের নবাব পরিবারের জন্ম এই গুণী মানুষটির জন্যে রইল গভীর শ্রদ্ধা।

বাংলাদেশের কবি শাহীন রেজা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেন- কথা ছিলো দেখা হবে, কিন্তু হলোনা। মরন পাখি ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গেলো তাকে। সিকদার আবুল বাশার। তিনি আর ফিরে আসবেন না। গতিধারা আর আলোকিত হবেনা তার উপস্থিতিতে। এই তো জীবন। এক পলকের নাই ভরসা। তার আত্মা শান্তি পাক এই কামনা।

Print Friendly

Related Posts