পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মিডিয়া ফেলোশিপ পেলেন যারা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মিডিয়া ফেলোশিপ পেয়েছেন ১৫ জন। সোমবার অধিদপ্তরের সভাকক্ষে নির্বাচিত ১৫ জনের প্রত্যেকের হাতে এই ফেলোশিপ বাবদ এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি যৌথভাবে এ মিডিয়া ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফেলোশিপপ্রাপ্তরা হলেন- দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক সাজিদা ইসলাম পারুল, প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার মানসুরা হোসাইন, ডেইলি স্টারের স্টাফ করেসপনডেন্ট মওদুদ আহম্মেদ সুজন, ভোরের কাগজের মরিয়ম মনি সেঁজুতি, দেশ রূপান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক মামুন আবদুল্লাহ, বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন খান, একাত্তর টিভির স্পেশাল করেসপনডেন্ট নাজনীন আক্তার মুন্নী, মোহনা টিভির রিপোর্টার নাজনীন আক্তার লাকি, চ্যানেল আইয়ের স্পেশাল করেসপনডেন্ট জান্নাতুল বারী কেকা, লাইভ টিভির সম্পাদক আনোয়ার হক, ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্টার বিলকিস ইরানি, সামহোয়্যার ব্লগ ডটনেটের ব্লগার এনায়েত হায়দার শাওন, সংবাদের কার্টুনিস্ট মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস ও উন্মাদের কার্টুনিস্ট আরিফ ইকবাল।

নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ১০ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা এখন পাশের কয়েকটি দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এখন মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর। এভাবে কাজ করতে পারলে আমেরিকাকে ধরা খুব কঠিন নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধ তৈরিতে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। আগামী সপ্তাহে সাড়ে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। অল্প লোক দিয়ে আমরা ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সব করা সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছা নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আইইসি অপারেশনাল প্ল্যানের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও নবজাতক স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা ইস্যুবিষয়ক লেখালেখি নিয়ে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে এ ফেলোশিপ (তিন মাসের) দেওয়া হয়।

Print Friendly

Related Posts