হাইকোর্টের সামনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচির একপর্যায়ে বাঁধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। এসময় অনেকে রাস্তায় শুয়ে পড়েন।

তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের ভীড় বাড়তে থাকে। বেলা দুইটার দিকে পুলিশ বিক্ষোভে বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। বিক্ষোভককারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেন তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান প্রমূখ।

 

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সংহতি সমাবেশে  জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিচারপতিরা অনেক আগেই সাহস হারিয়ে ফেলেছে। দেশকে শোধরানোর দায়িত্ব শুধু বিচারপতিদের হাতে দিলে হবে না। কারণ উনারা উনাদের বিবেক অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। ৫ জন বিচারপতিও একসাথে বসে বলতে পারলেন না- ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন অনেক আগেই দেওয়ার উচিত ছিল’।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও কাদের গনি চৌধুরী প্রমূখ।

Print Friendly

Related Posts